আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি:
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা খাবার আলু পরিবর্তন করে বিএডিসি বীজ আলু
বিতরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে কৃষি অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের
নজরে পরে।
বরিশাল জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তের উপ-পরিচালক (ডিডি) মো. মুরাদুল হাসান তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিযুষ রায়কে শোকজ করেন। এছাড়া তিনি কৃষকদের খাবার আলু ফেরত নিয়ে বীজ আলু দেবার নির্দেশ দেন আগৈলঝাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) থেকে উন্নতজাতের ‘সানসাইন’ আলুর বীজ ক্রয় করে কৃষকের বীজ আলু বুঝিয়ে দিয়ে পূর্বের দেয়া খাওয়ার আলু ফেরত নেন। কৃষক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কৃষকদের মাঝে আলু প্রদশর্নীর জন্য রতনপুর ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামের চাষী আমল হালদার, পশ্চিম মোল্লাপাড়া গ্রামের চাষী দশরৎ হালদার, মোল্লাপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেন জমাদ্দার, বাকাল ইউনিয়নের বড়মগরা গ্রামের চাষী তরনী শিকারী ও বাকাল গ্রামের যতীন্দ্রনাথ মিস্ত্রীসহ ৫জন আলু চাষীকে নির্ধারন করেছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর।
আলু চাষের জন্য প্রত্যেক চাষীকে ইউরিয়া ২৫ কেজি, পটাশ ৩০ কেজি, জৈবসার ১৪ কেজি, ডিএফপি ২০ কেজি, দস্তা ১ কেজি, জিং ১ কেজি ও আলুর বীজ ২শত কেজি করে মোট এক হাজার কেজি আলু দেওয়া হয়।
চলতি মৌসুমে চাষীরা আলু রোপনের জন্য জমি চাষ ও সার দিয়ে প্রস্তুত করেন। চাষীদের অভিযোগ ছিলো বীজ আলুর পরিবর্তে তাদেরকে খাওয়ার আলু দেয়া হয়েছিলো। চাষীরা টাকা খরচ করে জমি প্রস্তুত করলেও কৃষি অফিসের দেওয়া নিম্মামানের আলু রোপন করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তারা ওই আলু রোপন না করে অফিসে বার বার ধরনা দিয়ে কোন সুফল পায়নি।
এব্যাপারে বরিশাল জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) মো. মুরাদুল হাসান বলেন, খাবার আলু পরিবর্তন করে বিএডিসি’র বীজ আলু কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এ ধরনের কাজ করার জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিযুষ রায়কে শোকজ করা হয়েছে।