নিজস্ব প্রতিবেদক: নেছারাবাদ উপজেলায় ওয়াহিদ ও সৈকত গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারে বিএনপি দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। তাদের দ্বন্দ্বের জের ধরে সৈকত গ্রুপের ব্যবসায়ী মাইনুল ইসলামের (৩৮) ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায় ওয়াহিদ গ্রুপ। স্থানীয়রা মুমুর্ষূ অবস্থায় মাইনুলকে স্বরূপকাঠি হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে হামলাকারী সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ আসাদসহ তার সঙ্গপাঙ্গদের নামে নেছারাবাদ থানায় মামলা হয়। পুলিশ সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।
আহত স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, তিনি নেছারাবাদ থানার সোহাগদল ইউনিয়নের মৃত শাহাদাত হোসেনের পুত্র। থানায় দায়েরকৃত এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে মাইনুল ইসলাম নামের ওই যুবক নেছারাবাদ আলকির হাট এলাকার রজ্জব আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন পাকা রাস্তায় পৌছালে সন্ত্রাসী আসাদ, আরিফ, সোহেল, রাজু, রাসেল, রুবেল, কাইয়ুম, সজিব, আবু সাইদসহ ২০/২৫ জন যুবক দা, পাইপ, লোহার রড, লাঠি নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে তার ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এতে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে হত্যা করে তাকে (মাইনুল) নদীতে ফেলে দেবার হুমকি দিয়ে আসামীরা চলে যায়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত শাহ নেওয়াজ, বন্দেগীর ও পলাশ মিলে তাকে নিয়ে নেছারাবাদ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হলে ২০ ফেব্রুয়ারি আহত ব্যবসায়ী মাইনুল নেছারাবাদ থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন, যার মামলা নং-১০। এ ব্যাপারে পিরোজপুর নেছারাবাদ থানার অফিসার ইন চার্জ বনি আমিন জানান, “ভূক্তভোগী মাইনুল একটি এজাহার দায়ের করেছেন। আমরা আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।” বিষয়টি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।