নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
বরিশাল বিভাগীয় কালচারাল লিডারশীপ প্রোগ্রামে দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদের উপদেষ্টা ও বরিশাল আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য অ্যাডভোকেট মুয়াযযাম হোসাইন হেলাল বলেছেন, বাংলাদেশ অপসংস্কৃতিতে ভরে গিয়েছিলো। কোথাও ইসলামিক জলসা হলেই সেখানে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে নানান প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হতো। কোথাও শর্তসাপেক্ষে জলসা করতে দিতো, আবার কোথাও দিতোই না। কারণ সংস্কৃতি জাতিসত্ত্বাকে উজ্জীবীত করে। যাতে মুসলমানরা সংস্কৃতি চর্চা করে জাতিকে উজ্জীবীত করতে না পারে সেই চেষ্টাই করছিলো ফ্যাসিবাদীরা। তখন সর্বত্র অপসংস্কৃতিতে সয়লাব ছিলো। সেই অপসংসস্কৃতির মোকাবেলায় কাজ করেছিলো কবি সাহিত্যিকরা। জুলাই আন্দোলনে তাজা রক্তদিয়ে সেই অবস্থার পরিবর্তন করেছে ছাত্র-জনতা।
বরিশাল বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারে ০৩ জানুয়ারি শুক্রবার দিনব্যাপী কালচারাল লিডারশীপ প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট হেলাল এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন কবিতা বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি
বিভাগের প্রফেসর ড. মাহফুজুর ররহমান আখন্দ। বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশ : সাহিত্য-সাংস্কৃতিক চ্যালেঞ্জ ও আমাদের করণীয়‘ বিষয়ে দিক
নির্দেশনামূলক বিস্তারিত আলোচনা করেন তিনি। সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা বিষয়ে বিশেষ অতিথির আলোচনা করেন- দেশীয়
সাংস্কৃতিক সংসদের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি ড. মনোয়ারুল ইসলাম।
সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ও আমাদের করণীয় বিষয়ে আলোচনা করেন সমন্বিত সাংস্কৃতিক সংসদের (সসাস) সাবেক নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ আতিক উল্যাহ। কুরআনুল কারীম থেকে দারস পেশ করেন সংগঠনের উপদেষ্টা এবং বরিশাল
অঞ্চল টিম সদস্য ফখরুদ্দিন খান রাজি।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আরো বলেন, ইসলামী আন্দোলনের ক্ষেত্রে সাহিত্য- সংস্কৃতির ভূমিকা অপরিসীম হিসেবে কর্মীদের হৃদয়ে গেঁথে নিতে হবে। বিদ্রোহী বা চেতনার সূরে কাজী নজরুল ইসলামের পরেই কবি মতিউর রহমান মল্লিকের অবস্থান। তিনি আজীবন চেষ্টা চালিয়েছেন তৃণমূলে সুস্থ্য সংস্কৃতির প্রচলন করার। তারই উত্তরসূরী বা কর্মী হিসেবে সবশ্রেণির মানুষের কাছে আমাদের সংস্কৃতির ধারা পৌঁছে দিতে হবে।
বরিশাল সংস্কৃতিকেন্দ্রের সভাপতি প্রফেসর মাহমুদ হোসেন দুলাল এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বরিশাল মহানগরীর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যক্ষ জহিরউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর, বরিশাল জেলার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক আব্দুল জব্বার, ঝালকাঠির সুগন্ধা সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি অধ্যক্ষ ফরিদুল হক, বরগুনা জেলা সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুল মান্নান, ভোলার সিতারা সাংস্কৃতিক সংসদের সেক্রেটারি মো. আমীর হোসেন, পিরোজপু সংস্কৃতিকেন্দ্রের সভাপতি সোহরাব হোসেন জুয়েল ও পটুয়াখালী সংস্কৃতিকেন্দ্রের রফিকুল ইসলাম বাশার।
দিনব্যাপী প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালন করেন দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদের বরিশাল অঞ্চল তত্ত্বাবধায়ক ইয়াসিন মাহমুদ, পরিচালক আযাদ আলাউদ্দীন।