বাংলাদেশ বানী ডেস্ক॥
ঝালকাঠির রাজাপুরে ১০৮ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক কমিটির মধ্যে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ এবং তাদের অঙ্গসংগঠনের সদস্যদের উপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে কমিটির ১৩ সদস্য পদত্যাগ করেছেন। তারা ১০ জানুয়ারি রাতে রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
পদত্যাগকৃত সদস্যরা অভিযোগ করেন, ৯ জানুয়ারি প্রকাশিত জাতীয় নাগরিক কমিটির ১০৮ সদস্যের তালিকায় এমন অনেকের নাম রয়েছে, যারা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সাথে সরাসরি যুক্ত ছিলেন না। তাদের মতে, তালিকায় অযাচিতভাবে অনেক সাধারণ মানুষের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাদের কমিটিতে থাকার কোন আগ্রহ ছিল না। ফলে তারা অস্বস্তি অনুভব করেছেন এবং সব মিলিয়ে কমিটির এই তালিকা তাদের জন্য অগ্রহণযোগ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলস্বরূপ, তারা একযোগে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।
পদত্যাগকারী সদস্যরা হলেন- মো. নাইম হোসেন, আল ইমরান, তরিকুল ইসলাম মারুফ, আল শাহরিয়ার নিবির, তানভির আহমেদ সাকিব, আনভির মাহিম, আশরাফুল হোসেন ইমন, সাকিবুল ইসলাম, জাহিদ হাসান রিফাত, নাকিব, হৃদয় তালুকদার, নওশীন আঞ্জুম রোহান, এবং মাইনুল ইসলাম।
এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে রাজাপুর মহিলা কলেজের গ্রন্থাগারিক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির রাজাপুর প্রতিনিধি তাইমুর হায়দার সজীব বলেন, “যে কেউ আসতে পারে, আবার যে কেউ চলে যেতে পারে। এতে কোনো সমস্যা নেই। এই কমিটি ফ্যাসিবাদ বিরোধী, রাষ্ট্র ও দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের সাথে যুক্ত। যে কেউ নিয়ম মেনে সদস্য হতে বা চলে যেতে পারে, এটা নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই।”
জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক মশিউর রহমান বলেন, “আমরা ঢাকায় বসে জানি না কারা আন্দোলনে যুক্ত ছিল। রাজাপুর থেকে সজীব সবার নামের তালিকা পাঠিয়েছেন, তারপর আমরা ঘোষণা দিয়েছি। তবে যারা আন্দোলনের বিপক্ষে ছিল, তাদের নাম এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা সজীবের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।”