নিজস্ব প্রতিবেদক
সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্টের (সিজেডএম) উদ্যোগে ‘আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানিক যাকাত ব্যবস্থাপনা’ সেমিনার বরিশাল নগরীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
০৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিডিএস মিলনায়তনে সিজেডএম-এর উদ্যোগে ‘আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানিক যাকাত ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে যাকাত ব্যবস্থাপনার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ, ধর্মীয় ও সামাজিক গুরুত্ব, দরিদ্র বিমোচনে যাকাতের ভূমিকা, স্বাস্থ্যসেবা, অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা বৃত্তি ও কারিগরি প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সেমিনার সঞ্চালনা করেন সিজেডএম-এর এজিএম সহিদুল হাসান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ও কলামিস্ট ড. আব্দুল লতিফ মাসুম। কী-নোট স্পিকার হিসেবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিজেডএম-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।
সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ ও গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মামুন-উর-রশিদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সরকারি বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শেখ তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) বরিশাল বিভাগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নুরুল আমিন, ওজোপাডিকোর পরিচালক ও পার্ক বাংলা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজুল হোসেন রবিন, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ ইমাম মুফতি মাওলানা আব্দুস সালাম, সেইন্ট বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর কবির, উইমেন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি বিলকিস আহমেদ লিলি, দিশা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মো. জিয়াউল হক প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিজেডএম-এর হেড অব কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স কর্নেল (অব.) জাকারিয়া হোসেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, যাকাতের মূল লক্ষ্য হলো প্রাপককে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করা, যাতে সে ভবিষ্যতে যাকাত গ্রহণের পরিবর্তে যাকাত প্রদানকারী হতে পারে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনে যাকাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে ব্যক্তিগতভাবে যাকাত প্রদানের চেয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তা প্রদান করলে অধিক কার্যকর ও টেকসই হয়।
বক্তারা আরও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশে যাকাত তহবিল গঠন করে সংগঠিতভাবে তা বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশেও গত ১৬ বছর ধরে সিজেডএম প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যাকাত ব্যবস্থাপনায় কাজ করে যাচ্ছে। সংগৃহীত যাকাত তহবিল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, মূলধন হস্তান্তর, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও কারিগরি প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে ব্যয় করা হচ্ছে।
সিজেডএম-এর কার্যক্রম
সিজেডএম-এর আওতায় প্রায় ১৮ লাখ মানুষ বিভিন্ন সহায়তা পেয়েছে। তাদের উল্লেখযোগ্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে: ইনসানিয়াত, জীবিকা, ফেরদৌসি , জিনিয়াস, গুলবাগিচা, নৈপুণ্য বিকাশ, মুদারিব, দাওয়াহ সেমিনারে উপস্থিত অতিথিরা যাকাত ব্যবস্থাপনাকে আরও সুসংগঠিত ও কার্যকর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।