ভূঁইয়া কামাল, মুলাদী প্রতিনিধ॥
বরিশালের মুলাদী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত আড়িয়ালখাঁ নদে সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিশেষজ্ঞ আড়িয়ালখাঁ নদের পাইতিখোলা এলাকায় পরিদর্শন করে সেতু নির্মাণের
সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করেন। এ সময় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাহজাহান মন্ডল, উপজেলা প্রকৌশলী মো: তানজিলুর রহমানসহ স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা প্রকৌশলী মো: তানজিলুর রহমান বলেন, মুলাদী উপজেলার সঙ্গে নাজিরপুর ইউনিয়নের কোনো সড়ক পথ নেই। আড়িয়ালখাঁ নদের পাইতিখোলা এলাকায় ১ হাজার ৩০০ মিটার সেতু নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিলো। ওই সেতুর প্রি ফিজিবিলিটি স্টাডি করার জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল প্রকৌশলী প্রস্তাবিত
এলাকায় পরিদর্শন করেন।
উপজেলা প্রকৌশলী আরও বলেন, বরিশালের উত্তরের মুলাদী, হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ ও কাজিরহাট থানা মানুষ পদ্মা সেতুর কাঙ্খিত সুফল পাচ্ছেন
না। এসব এলাকার মানুষের ঢাকা যাওয়ার জন্য এখনও ৬-৭ ঘন্টা সময় লেগে যায়। আড়িয়ালখাঁ নদের পাইতিখোলা এলাকায় সেতুটি নির্মিত হলে মুলাদী, হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার মানুষ সহজেই রাজধানী ঢাকা যাতায়াত করতে পারবেন এবং সাধারণ মানুষ পদ্মা সেতুর সুফল পাবেন।
বলা হয়ে থাকে এই পদ্মাসেতু দেশে ২১ জেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্বার উন্মোচন করে দিয়েছে। কাগজে কলমে বা কথায় যদিও বলা হয়েথাকে ২১ জেলার মানুষ সুবিধা পাচ্ছে পদ্মাসেতুর। কিন্তুু অনেক সময় আলোর নিচেই থেকে যায় অন্ধকার। এই ২১ জেলার অনেক এলাকার মানুষই যোগাযোগ ব্যবস্থায় পদ্মাসেতুর সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তার মধ্যে মুলাদী উপজেলাসহ হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ ও কাজিরহাট থানা পদ্মাসেতুর সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
সেতুটি দ্রুত নির্মাণের মধ্যে দিয়ে মুলাদী, হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ ও কাজিরহাটবাসী পদ্মাসেতুর সুবিধা ভোগ করবে এটাই এলাকাবাসীর
দাবি।