আযাদ আলাউদ্দীন, পটুয়াখালী থেকে:
পটুয়াখালীতে ড. মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিলে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। শনিবার রাত ৮টা ৫ মিনিটে তিনি তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের মঞ্চে আসন গ্রহণ করে তাফসির শুরু করলেও দুই তিন দিন আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকার কন্টেট ক্রিয়েটর ও ইউটিবারগণ প্যান্ডেলের মধ্যে নিজেদের অবস্থান নেন। মাহফিলের আগের রাতে অনেকে প্যান্ডেলের সামনে থেকে তাদের প্রিয় বক্তাকে দেখার জন্য প্যান্ডেলের মাঠে ঘুমান।
শনিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকার মানুষ সড়ক ও নৌপথে শত শত বাস ট্রলার নিয়ে পটুয়াখালী আসতে থাকেন। গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য পুরাতন এয়ারপোর্টে স্থান বরাদ্দ করা হয়। দুপুরের পর থেকে মানুষের ঢল নামে মাহফিল স্থলে। বিকেলের আগেই মূল প্যান্ডেল কানায় কানায় ভরে যায়। সন্ধ্যার আগে মহিলা প্যান্ডেলসহ প্রস্তুত করা ৯টি মাঠে তিল ধারনের ঠাঁই ছিলোনা। অনেকে মাঠে জায়গা না পেয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে এলইডি স্ক্রিনের ডিসপ্লেতে তাদের প্রিয় বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীর বক্তব্য শোনেন। পটুয়াখালী চৌমাথা থেকে মাহফিল স্থলের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। মানুষ দলে দলে পায়ে হেটে ৯টি প্যান্ডেলে পৌঁছেন এবং ডিজিটাল ডিসপ্লেতে তাফসির শোনেন। মাহফিলের দুই কিলোমিটার এলাকায় ৫ শতাধিক মাইক লাগানো হয়। যার কারণে যে যেখানে ছিলেন সেখান থেকেই তাফসির শোনার সুযোগ পান।
বক্তব্যের শুরুতে মিজানুর রহমান আজহারী বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে এ অঞ্চলের মানুষের ভালো দিকগুলোর প্রশংসা করেন। তিনি বরিশাল বিভাগের ৬ জেলা থেকে আসা মানুষের পরিসংখ্যান যাছাই করেন এবং তরুন প্রজম্মের জেন জি’র প্রশংসা করেন।
বেলা ২টায় অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে এবং পটুয়াখালী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবদুল্লাহ আল নাহিয়ানের ব্যবস্থাপনায় মাহফিলে আলোচনা করেন সাবেক ছাত্রনেতা ও বাউফল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মাওলানা শাহ নেছারুল হক, শায়খ মাওলানা জামাল উদ্দিন, অধ্যাপক শাহে আলম প্রমুখ।
আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন প্রখ্যাত শিল্পী ওবায়দুল্লাহ তারেক, বরিশাল সাংস্কৃতিক সংসদ, হেরাররশ্মি শিল্পীগোষ্ঠী ও পটুয়াখালী সংস্কৃতি কেন্দ্রের শিল্পীরা।