রাজাপুর প্রতিনিধ॥
তিন শতাধিক ছাত্র -ছাত্রী নাজুক অবকাঠামোর মধ্যে ক্লাস করছে । তার মধ্যে ছাত্র ১১৪ ও ছাত্রী ১৭১ জন। শিক্ষক মোট ১৫ জন, যদিও থাকার কথা ২৮ জন। এমন চিত্রই দেখা গেছে ঝালকাঠি জেলার রাজাপুুর উপজেলার নারিকেল বাড়িয়া জাফরাবাদ আলিম মাদরাসার।
এ অবস্থায় ক্লাস চালাতে হিমশিম খেতে হয় মাদরাসা কর্তৃপক্ষের। আর এর নেপথ্যে আছে এ প্রতিষ্ঠানের ৩১টি পদের মধ্যে ১৪টি পদই শূন্য।শিক্ষক সংকটের মধ্যে কীভাবে পাঠদান চলছে জানতে চাইলে মাদারাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এ কে এম নাছির উদ্দিন বলেন, ইংরেজি, আরবি, গণিত, আইসিটি ও ভৌত বিজ্ঞান বিষয়ের ক্লাস চালাতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমিসহ প্রায় সকল শিক্ষকদের প্রতিদিন কমপক্ষে ৬/৭ টি ক্লাস নিতে হচ্ছে।
এ অবস্থায় ক্লাস চালাতে হিমশিম খেতে হয় মাদরাসা কর্তৃপক্ষের। আর এর নেপথ্যে আছে এ প্রতিষ্ঠানের ৩১টি পদের মধ্যে ১৪টি পদই শূন্য।শিক্ষক সংকটের মধ্যে কীভাবে পাঠদান চলছে জানতে চাইলে মাদারাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এ কে এম নাছির উদ্দিন বলেন, ইংরেজি, আরবি, গণিত, আইসিটি ও ভৌত বিজ্ঞান বিষয়ের ক্লাস চালাতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমিসহ প্রায় সকল শিক্ষকদের প্রতিদিন কমপক্ষে ৬/৭ টি ক্লাস নিতে হচ্ছে।
কোন কোন বিষয়ের শিক্ষক নেই-এমন প্রশ্নের উত্তরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, আরবি প্রভাষক, আইসিটি প্রভাষক, গণিত সহকারী শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক আইসিটি, ইবতেদায়ি জুনিয়র মৌলভী, সহকারী মৌলভী ৩জন, শিক্ষকসহ লাইব্রেরিয়ান পদ খালি আছে আমাদের। এই পদের শিক্ষক খুবই দরকার মাদরাসার জন্য।
তিনি আরো বলেন, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কাছে আমরা চাহিদা দিয়েছি। কিন্তু কী কারণে চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষক দিচ্ছে না সেটা আমি জানি না। আমি কয়েকবার রাজাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি।
নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী লামিয়া জানায়, গরমে ক্লাস করতে আমাদের খুব অসুবিধা হয় এবং বৃষ্টির দিনে ক্লাসে বসাই যায় না বৃষ্টির পানি সব ক্লাসের মধ্যে আসে।
এ বিষয় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তফা আলম বলেছেন বলেন, গণিত ও আইসিটি শিক্ষক কম থাকার কারণে দিতে পারছে না।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আরো জানান, সব শিক্ষকই শহরের প্রতিষ্ঠানে যেতে চান, আপনাদের প্রতিষ্ঠান গ্রামে এজন্য হয়তো পাচ্ছেন না।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আরো জানান, সব শিক্ষকই শহরের প্রতিষ্ঠানে যেতে চান, আপনাদের প্রতিষ্ঠান গ্রামে এজন্য হয়তো পাচ্ছেন না।
গত এপ্রিল মাসে আমরা চাহিদা আপডেট করেছি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে প্রচার করি কিন্তু বহুল প্রচারের পরেও আমরা কোনো আবেদন পাইনি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন অবকাঠামো উন্নয়ন হলে আমদের ছাত্র/ছাত্রী বাড়বে সেই সাথে শিক্ষার মান উন্নয়ন হবে ইনশাল্লাহ।
এলাকাবাসী ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের এলাকার এই মাদরাসাটা ঐতিহ্যবাহী একটা মাদরাসা কিন্তু এত বছরেও ভালো একটা ভবন না থাকায় এলাকার শিক্ষার্থীরা অন্য স্কুল মাদরাসায় গিয়ে পড়াশোনা করে। তাই আমরা সরকারের কাছে আবেদন করি যাতে একটা সুন্দর ভবন করে দেয় এবং মেয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য সীমানা প্রাচীর করা খুব দরকার।