উজিরপুর (বরিশাল) প্রতিনিধি।।
বরিশালের উজিরপুরে আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়েছে ব্যাটারি চালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক থেকে ব্যাটারি চুরির ঘটনা। নানা ভোগান্তির অজুহাতে থানায় অভিযোগ করতে ভুক্তভোগীদের অনীহা।
গত এক মাসে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সবার বিভিন্ন স্থানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। শোলক ইউনিয়নে থেকে আব্দুর রহিম বেপারী, মোহাম্মদ আলী, মজিবর ও জনি নামের ভ্যান চালক বাবু এবং ইজিবাইক চালক আবুল হোসেন গুনরাজ সহ মোট ৬ জনের বাড়ি থেকে তাদের বাহনের ব্যাটারি খুলে নিয়ে গেছে সঙ্ঘবদ্ধ চোরেরা।
জানা গেছে, প্রত্যেকের ভ্যানে চারটি ব্যাটারির ও ইজিবাইকে পাঁচটি ব্যাটারির মধ্যে দুইটি করে চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা।
সাতলা ইউনিয়নের সাতলা বাজারের কয়েকজন ভ্যান চালক জানান, মাস খানেক আগে দক্ষিণ সাতলা এলাকার এক রিকশা চালকের ভ্যান থেকে চারটি ব্যাটারিই চুরি করে নিয়ে যায় চোর চক্র। হারতা ইউনিয়নের কুচিয়ার পাড় থেকে খাইরুল নামের এক ভ্যান চালকের ব্যাটারি চালিত ভ্যান চুরি হয়ে গেছে রাতের আধারে। এছাড়াও বিগত কিছুদিন যাবত বেড়েছে ইজিবাইক চুরি ও ছিনতাই এর ঘটনা।
শোলক ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি মো. শিরাজ ইসলাম তালুকদার বলেন, এ ইউনিয়নে প্রায় ১ শত জন ইজিবাইক ও ভ্যান চালক রয়েছেন। পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নসহ আরো অসংখ্য ইজিবাইক। যাদের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব আমার জানা নেই।
তিনি আরো বলেন, উজিরপুর মডেল থানায় এর আগেও অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরি করলেও ইজিবাইক গুলি এখনো উদ্ধার হয়নি।
ভ্যান ও ইজিবাইক চালকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে ব্যাটারি হারালেও তারা থানায় কোন অভিযোগ করেননি। থানায় অভিযোগ না করার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, অভিযোগ করতে গেলে আগেই ৫০০ টাকা দেয়া লাগে, এরপরও কোন উদ্ধার হয় না। এজন্যই তারা অভিযোগ না করে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোন করে নতুন ব্যাটারি কিনেছেন।
শোলক ইউনিয়নের দত্তেশ্বর গ্রামের ভুক্তভোগী ইজিবাইক চালক আবুল হোসেন গুনরাজ বলেন, আমি সারাদিন ইজিবাইক চালিয়ে বুধবার গভীর রাতে নিজ বাড়িতে ইজিবাইক চার্জ দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। রাতে ২ টায় উঠে দেখি পাঁচ টি ব্যাটারির মধ্যে দুইটি ব্যাটারিই চোরে নিয়েগেছে। ইজিবাইক চালিয়ে সারাদিন যা আয় করি তা দিয়েই কোনরকমে সংসার চালাই। ব্যাটারি হারানোর পর নিরুপায় হয়ে পড়ি।
উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুস সালাম বলেন, থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে কোন খরচ হয়না। দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ। ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ করলে তার প্রেক্ষিতে পুলিশ অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে।