আমতলী প্রতিনিধি ॥
পরকিয়ার অপবাদ দিয়ে স্ত্রী তিন্নিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় স্বামী মনির খাঁনকে প্রধান আসামী করে আমতলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার রাতে তিন্নির মা রাহিমা বেগম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘাতক স্বামী মনির খাঁন ও শ্বাশুড়ী লাইলি বেগমকে বৃহস্পতিবার আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার চাওড়া চন্দ্রা গ্রামের নিজাম হাওলাদারের কন্যা তিন্নিকে বিয়ের আট মাসের মাথায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বামী মনির খাঁন পরকিয়ার অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্বামী মনির স্ত্রী তিন্নিকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে চিকিৎসক ডাঃ মনিরুজ্জামান খাঁন তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। এ সময় ঘাতক স্বামী মনির খাঁন স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাকে ও তার মা লাইলি বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার রাতে এ ঘটনায় নিহত তিন্নির মা রাহিমা বেগম বাদী হয়ে আমতলী থানায় জামাতা মনির খানকে প্রধান আসামী করে তিন্নির শ্বাশুড়ী লাইলি বেগম, শ্বশুর হারুন খাঁন ও দেবর আল আমিন খাঁনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার পুলিশ গ্রেপ্তার স্বামী মনির খাঁন ও শ্বাশুড়ী লাইলি বেগমকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
মামলার বাদী নিহত তিন্নির মা রাহিমা বেগম কান্নাহজনিত কন্ঠে বলেন, আমার মেয়েকে বিয়ের পর থেকেই নানা অযুহাতে জামাতা মনির, তার বাবা হারুন খাঁন মাতা লাইলি বেগম ও ভাই আল আমিন নির্যাতন করে আসছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পরকিয়ার অপবাদ দিয়ে আমার মেয়েকে তারা পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনার তাদের শাস্তি দাবী করছি।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, স্বামী মনির খাঁনকে প্রধান আসামী করে চারজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়।