বাংলাদেশ বাণী ডেস্ক॥
বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরি পরিষদের দায়িত্ব এবার নিয়েছেন গত নির্বাচনে পরাজিত বিএনপি-জামায়াতপন্থী প্রার্থীরা। পাশাপাশি, নতুন করে একটি উপদেষ্টা পরিষদ ও নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
বুধবার বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির দোতলায় অনুষ্ঠিত একটি তলবী সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন যে, গত ২২ ডিসেম্বর বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির তলবী সভা আহ্বানের জন্য সভাপতির কাছে আবেদন করা হয়েছিল। এতে ৪২২ জন সদস্য স্বাক্ষর করেছিলেন, কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী সভাপতি সভা আহ্বান করেননি। ফলে, ৪২২ জন সদস্য উপস্থিত হয়ে তলবী সভা করেন। এ সভায় এ্যাড. মুজিবুর রহমান নান্টু সভাপতিত্ব করেন।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সমিতির বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নতুন ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়, যা ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন দিন ঘোষণা করবে। নির্বাচনের পর নতুন কমিটির কাছে সমিতির দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে।
এছাড়া, গত নির্বাচনে সমিতির বর্তমান কার্যকরি কমিটি ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী প্রার্থীদের পরাজিত দেখিয়ে সভাপতি প্রার্থী এ্যাড. সাদিকুর রহমান লিংকন ও সাধারণ সম্পাদক মির্জা মো. রিয়াজ হোসেনসহ তাদের পন্থী প্রার্থীদের পরাজিত করে নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করে অবৈধভাবে কার্যকরি পরিষদ দখল করে। তাই, বর্তমান কমিটি বাতিল করে লিংকন ও রিয়াজ পরিষদের প্রার্থীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, একটি ৮ সদস্যবিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছে। সমিতির যাবতীয় কার্যক্রম উপদেষ্টা পরিষদের অনুমতিক্রমে পরিচালিত হবে। সভায় বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. গোলাম কবির বাদল বলেন, গত ২২ ডিসেম্বর আবেদন করা হলেও, সিভিল কোর্ট বন্ধ থাকায় তিনি ২ জানুয়ারি সভা আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু তা মানা হয়নি। তিনি বলেন, এ সভা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী হয়নি এবং এটি একটি প্রহসনের সভা ছিল। তবে এ বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে চান না।