নিজস্ব প্রতিবেদক।।
ছাত্র আন্দোলনের খলনায়ক, এবার শত কোটি টাকার উন্নয়নের নায়ক! শুনতে অবাক লাগলেও এমনই এক ঘটনা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে ভোলায়।
জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামী হয়েও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (LGED) ১শত ৪০ কোটি টাকার কাজ ভাগিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ভোলা-৩ আসনের আওয়ামীলীগ দলীয় সাবেক সংসদ নুরনবী চৌধুরী শাওনের মামাতো ভাই রাশেদুজ্জামান পিটার।
সম্প্রতি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন ভোলা এবং বরগুনায় ম্যানুয়াল টেন্ডারের মাধ্যমে ১৫টি সাইক্লোন সেল্টারের কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করে নির্বাহী প্রকৌশলী ভোলা ও বরগুনা । মেসার্স রাশেদুজ্জামান পিটার ওই দরপত্রে অংশগ্রহণ করে কতিপয় কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজোশে ১শত ৪০কোটি টাকার কাজ ভাগিয়ে নেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন বলে জানা গেছে।
একটি সূত্র জানায়, রাশেদুজ্জামান পিটার আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে নুরনবী চৌধুরী শাওনের ছত্র-ছায়ায় কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। এমপির মামাতো ভাই হওয়ার সুবাদে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে ছিলো তার একচ্ছত্র আধিপত্য। তারই ধারাবাহিকতায় মন্ত্রণালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা এখনো তাকে কাজ পাইয়ে দিতে গোপনে সহযোগিতা করছেন। রাশেদুজ্জামান পিটারের কাজের লভ্যাংশের একটি অংশ চলে যায় সাবেক এমপি শাওনের পকেটে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার উপর নির্বিচারে গুলি করে হত্যার অপরাধে এই রাশেদুজ্জামান পিটার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ভোলা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ৮টি মামলা রয়েছে।
সচেতন মহল বলছেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম হত্যাকারী হয়েও পিটার যদি কাজ ভাগিয়ে নেয় তাহলে জুলাই ও আগষ্টের শহীদদের প্রতি অবমাননা করা হবে। তারা দাবী করছেন পিটারের মালিকানা প্রতিষ্ঠানকে কাজ না দিইয়ে পুনরায় টেন্ডারের মাধ্যমে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ার।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।