নিজস্ব প্রতিবেদক।।
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে টানা বৃষ্টি ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ বিরাজমান থাকায় বরিশাল বিভাগের তিন নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ নদীসমূহে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জোয়ার বিরাজমান আছে।
বুধবার (৯জুলাই) পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশালের জলানুসন্ধান বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দপ্তরটির দেওয়া তথ্য মতে, ঝালকাঠি জেলার বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৬সেন্টিমিটার, ভোলা জেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি তজুমদ্দিন উপজেলা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬২সেন্টিমিটার এবং পটুয়াখালী জেলার পায়রা নদী মির্জাগঞ্জ উপজেলা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৩সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পরিস্থিতি তৈরি করবে না। বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলে নদী, খালের এটি স্বাভাবিক চরিত্র।
টানা বৃষ্টিতে বরিশাল শহর ও শহরের উপকণ্ঠে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। শহরের বিভিন্ন সড়ক, গলি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙিনা পানিতে ডুবে আছে। এতে মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
নগরীর সাগরদি এলাকার বাসিন্দা জিয়াউর রহমান বলেন, বৃষ্টিতে নগরবাসী মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছে। ছেলেমেয়েদের স্কুলে দিতে পারছি না। চলাচলেও অসুবিধা হচ্ছে। বৃষ্টিতে সড়কের খানাখন্দগুলো বেড়িয়ে দুর্ভোগের মাত্রা বাড়িয়েছে।
রিকশাচালক বেল্লাল মিয়া বলেন চার-পাঁচদিন হলো ঠিকভাবে পেসেঞ্জার পাচ্ছি না। সারাদিন বৃষ্টি হওয়ায় মানুষ ঘরের বাইরে বেড় হচ্ছে কম। আমরা ঠিকভাবে বাজার করতে পারছি না।
সদর উপজেলার কর্ণকাঠি এলাকার বাসিন্দা চাঁন মিয়া বলেন আমার বাড়ি কীর্তনখোলা তীরে। বৃষ্টিতে আর জোয়ারে কিছু পানি বেড়েছে। এতেই বাড়ির উঠান, রান্নাঘরে পানি চলে এসেছে। আরও বৃষ্টি থাকলে ঘর-বাড়ি ছাড়া লাগবে।
উপকূলীয় উপজেলাসমূহরে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নদী তীরবর্তী বসতিতে ইতোমধ্যে পানি ঢুকে পড়েছে। বিশেষ করে ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী এবং পিরোজপুর জেলার নদী তীরবর্তী লোকালয়ে।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।