এরশাদ সোহেল।।
যেখানে আসলে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দুটোই একসাথে দেখতে পাওয়া যায়। সেখানে সমুদ্রের তর্জন-গর্জনে মিশে থাকা শত বছরের কালজয়ী ইতিহাসের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকজনও।
জনশ্রুতি আছে, আরাকান থেকে বিতারিত রাখাইন বাসিন্দারা সুপেয় পানির জন্য খনন করেন কুয়া আর সে থেকেই এর নামকরণ করা হয় কুয়াকাটা নামে। যেটি সমুদ্রবিলাসীদের কাছে সাগরকণ্যা নামেও পরিচিত।
প্রতিদিন শত শত পর্যটকরা স্বস্তির নি:শ্বাস নিতে গা ভাসিয়ে দেন কুয়াকাটার সুনীল সমুদ্রের নোনাজলে।
তবে, বর্তমানে খ্যাতনামা এ সৈকতে আসা পর্যটকরা প্রকাশ করেছেন হতাশা। একদিকে সৈকতজুড়ে ময়লা-আবর্জনা অন্যদিকে যত্রতত্র নসিমন,ইজিবাইক এবং ভাড়ায় চালিত মটরসাইকেলের ছোটাছুটিতে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। সৈকতের জলছুঁয়ে ফেলে রাখা জিও ব্যাগগুলো সমুদ্রের সৌন্দর্যকে ম্লান করে দেয় বলে ও জানান অনেকে।
ভোলা থেকে আসা পর্যটক জামাল উদ্দিন জানান,সৈকতে ফেলে রাখা ডাবের খোসা,পানির বোতল ও বিভিন চিপসের প্যাকেট সহ অপচনশীল বস্তুর কারণে সৈকতটি ক্রমেই ময়লার ভাগারে পরিনত হয়ে যাচ্ছে।
ঢাকা থেকে আসা শিক্ষার্থী মেহরীন ও বলেন একই কথা। তিনি আরো বলেন, যেহেতু এটি দেশের একটি অন্যতম সমুদ্র সৈকত সেহেতু হাইওয়ে রোড ও এর অবকাঠামোগত উন্নয়ন জরুরী।তাহলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের সমাগম আরো বাড়বে।বিশেষ করে বরিশাল থেকে কুয়াকাটার রাস্তাঘাটকে আরো প্রশস্ত এবং আরো উন্নয়ন করার ও দাবী জানান তারা।
এ বিষয়ে সরকারের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতাকে দায়ী করেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্যুরিস্ট পুলিশের এক কর্মকর্তা।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এ সমুদ্র সৈকতকে আরো ঢেলে সাজালে প্রচুর পর্যটকের সমাগম বাড়বে বলে প্রত্যাশা পর্যটকদের।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।