লালমোহন প্রতিনিধি।।
লালমোহনে বিএনপি নেতা মেজর হাফিজের আলেম ওলামাদের নিয়ে মতবিনিময় সভা নিয়ে ধুর্মজালের সৃষ্টি হয়েছে। অনুষ্ঠানের ব্যানারে আয়োজক কমিটির নাম না থাকায় এই বিভ্রান্তিতে পরে সংবাদকর্মীগন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গত জুমাবার লালমোহন কামিল মাদরাসার মাঠে আলেম ওলামাদের নিয়ে মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রমকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রেখে মতবিনিময় সভা করেন।
চিঠিতে দাওয়াতি কাজ করেছেন জমিয়াতুল মোর্দারেসিন। কিন্তু ব্যানারে আয়োজক কমিটির নাম না থাকায় অনেক মাদরাসার প্রধানরা এনিয়ে প্রশ্ন তুলেন।

এসব নিয়ে এক মাদরাসার সুপার (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মোর্দারেসিনের সভাপতি মাওলানা মোশাররফ হোসেন দাওয়াত দিয়েছেন। তবে প্রোগ্রামে গিয়ে দেখি সব বিএনপি। এ বিষয়ে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবুল পাটোয়ারী বলেন, এটা বিএনপির অনুষ্ঠান তবে কৌশলগত কারণে আমরা মোশাররফ হুজুরকে সভাপতি করেছি।
এব্যাপারে অন্য একটি ফাজিল মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল বলেন, “মাওলানা মোশাররফ নিজের নানান অপকর্ম ঢাকতে মেজর হাফিজকে কাছে পেতে চায়। তিনি শাওনকে কাজে লাগিয়েছে এখন আগেভাগে হাফিজ সাহেবকে কাছে টানতে চায়।”

আরেকজন প্রিন্সিপালকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কামিল মাদরাসাটি হলো একটি কেন্দ্র আর অধ্যক্ষ মাওলানা মোশারফ হলো কেন্দ্রের প্রধান তাই তার আহ্বানে আমরা এসেছি।
উল্লেখ্য যে, লালমোহন কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে দুই জন প্রভাষক নিয়োগের অভিযোগে বিভাগীয় তদন্ত চলছে। সেটা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য তিনি বিএনপি ও মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রমের আনুকূল্য লাভের চেষ্টা করছেন বলে জানান রাজনৈতিক সচেতন অনেকেই।
এছাড়াও তিনি আওয়ামী লীগের এমপি শাওনের সময় তার কাছের হুজুর হিসেবে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পান। এবিষয়ে অধ্যক্ষ মাওলানা মোশাররফ হোসেনকে ফোন দিলে তিনি জানান, সভাটি বিএনপির তবে আমাকে সভাপতি ঘোষণা করেছে। তাই সভাপতিত্ব করেছি।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।