মোশাররফ মুন্না॥
১১৯ টি সিনেমায় ১৫৫ টি গানের কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন দেশে ফিরছেন আজ। যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘ ৬ বছরের প্রবাস জীবন শেষে রোববার ১০ নভেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও খ্যাতিমান এই সংগীত তারকা । প্রবাসী বাংলাদেশিরা ছাড়াও দেশে তিনি সবসময়ই সম্মানিত ও জনপ্রিয় শিল্পী। সাড়ে চার দশকের ক্যারিয়ারে আমেরিকা, ইউরোপ, এবং মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিত্ব করেছেন বেবী নাজনীন। আধুনিক বাংলা সঙ্গীতে তাঁর অবদান অসামান্য, তিনি অর্ধশতাধিক একক অডিও অ্যালবামসহ অসংখ্য দ্বৈত গান পরিবেশন করেছেন। ১৯৭৬ সাল থেকে আজ অবদি আছেন সংগীত জগতে।
তবে, গত ১৬ বছরের স্বৈরাচারী সরকারের রোষানলে পরে বেবী নাজনীন নানা বাধার সম্মুখীন হন। সঙ্গীত পেশায় অত্যধিক প্রতিবন্ধকতার কারণে বাংলাদেশ বেতার, টিভি ও মঞ্চের মতো জনপ্রিয় মাধ্যমগুলোতে তাঁর কাজ করতে কঠিন হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত দেশের সঙ্গীত জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ২০১৮ সালে প্রবাসে গিয়ে বসবাস করতে বাধ্য হন তিনি।
জনপ্রিয় এই তারকা শিল্পী ১৯৭৬ সালের ২৩ আগস্ট নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার গানের প্রাথমিক শিক্ষা তার বাবা মনসুর সরকার এর কাছে। তিনি সর্ব প্রথম স্টেজ পারফরম্যান্স করেন ৭ বছর বয়সে। ১৯৮০ সালে প্রথম তিনি বাংলা সিনেমায় কণ্ঠ দেন। একসময় নাজনীন রাজশাহী ডিভিশনের একজন বলিবল খেলোয়ার ছিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশের খ্যাতিমান কণ্ঠশিল্পী ও রাজনীতিবিদ।
১৯৭৬ সাল থেকে গানের জগতে পদার্পণ করা এই শিল্পী বিভিন্ন জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। ২০০৩ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ মহিলা গায় হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে প্রার্থী হয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন জাতীয় নির্বাচনে।
বেবী নাজনীনের সঙ্গীতজীবন একেবারে সুরময় এবং সমৃদ্ধ। তার বহুল জনপ্রিয় গানের মধ্যে ঘুম ভাঙ্গায়া গেল রে মরার কোকিলে বিশেষভাবে পরিচিত। এছাড়াও, তার গাওয়া অনেক জনপ্রিয় গান যেমন- এলোমেলো বাতাসে উড়িয়েছি শাড়ির আঁচল, লোকে বলে আমার ঘরে নাকি চাঁদ এসেছে, ঐ রংধনু থেকে কিছু কিছু রং, ও বন্ধুরে তুই কতদূরে, মানুষ নিষ্পাপ পৃথিবীতে আসে, দু’চোখে ঘুম আসে না, কাল সারারাত ছিল স্বপনেরও রাত, ও বন্ধু তুমি কই কই রে এবং কই গেলা নিঠুর বন্ধুরে গানগুলোও শ্রোতাদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় অর্জন করেছে।