সম্পর্কিত খবর
বাংলাদেশ বাণী ডেস্ক॥
বুধবার (২৭ নভেম্বর) থেকে ছাত্রাবাস ও ছাত্রী নিবাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাই ২৭ নভেম্বর বেলা ১২ টার মধ্যে আবাসিক সকল শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ কারার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয় পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে।
তবে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও প্রতিষ্ঠানের দাপ্তরিক সব ধরনের কাজ চলবে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ ডা. মানষ কৃষ্ণ কুন্ডু।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবিতে আইএইচটির পরীক্ষা সহ একাডেমিক কার্যক্রম কিছুদিন আগ থেকেই বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে ৩য় ও ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যকার দ্বন্দ্বে প্রতিষ্ঠানে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
সোমবার এক আদেশে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের দুই দফায় মারধরের ঘটনায় এক শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়াও ছাত্রাবাস থেকে আট শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে আরও এক শিক্ষার্থীকে। এ আদেশ দেয়ার পরে রাতে ছাত্রবাসে উত্তেজনা তৈরি হয়। তারা শুনেছেন, ছাত্রবাসে সোমবার রাতে ছাত্রদের উভয়পক্ষের মধ্যে পুনরায় সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়। সবদিক বিবেচনা করে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তাই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এ বিষয়ে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি)’র রেডিওলজী বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. সোহেল জানান, নগরীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ৬০০ থেকে ৭০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে অর্ধেকের বেশিই ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশোনা করে। এমনিতেই আন্দোলনে পরীক্ষাসহ একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত তারা। এর মধ্যে হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে বেশ বিপাকে পড়েছে আবাসিক শিক্ষার্থীরা। কর্তৃপক্ষ যদি হল বন্ধ করে দেয় তাহলে বাড়ি চলে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না