মো. নুর উল্লাহ আরিফ, চরফ্যাশন প্রতিনিধি ॥
শীতের আমেজ শুরু হতেই চরফ্যাসনে জমে ওঠেছে বাহারি পিঠার বাজার। চরফ্যাসন প্রেসক্লাব ও ব্রজগোপাল টাউন হলের সামনে নানা রকমের পিঠার পসরা বসে প্রতিদিন বিকেলে। এখানে চার- পাচটি পিঠার দোকান বসে নিয়মিত। গত কয়েক দিন যাবত সন্ধ্যার পর পিঠার বাজার বেশ জমজমাট দেখা গেছে। সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে অনেকেই পিঠা খেতে ভীড় জমাচ্ছেন এসব পিঠার দোকানে। কেউ দাড়িয়ে কেউ বা বসে মনের আয়েশসহ খাচ্ছেন পিঠা। পিঠা খাবারে ভাড়তি স্বাদ যোগাতে সাথে দেয়া হচ্ছে নানা ধরনের ভর্তা। সরিষা ভর্তা, চিংড়ি শুঁটকি মাছ ভর্তা, ধনিয়া পাতা ভর্তা,কাঁচা ও শুকনো মরিচ ভর্তাসহ বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক ভর্তা।
শুধু পৌর শহরে নয়, গ্রামের বিভিন্ন হাট বাজারেও সন্ধ্যার পর বসে পিঠার ভ্রাম্যমাণ দোকান। প্রতিটি বাজারেই শীতকালীন পিঠার প্রতি মানুষের চাহিদা রয়েছ। চিতইপিঠা, ভাপাপিঠা,পাটিসাপটা ও ডিম চিতইপিটাসহ নানা ধরনের পিঠা তৈরি করছেন দোকানীরা। সন্ধ্যার পরই লোকজন এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানে ভীড় করে পিঠা খাওয়ার জন্য। কেউ কেউ দোকানের এককোনে বসে খাচ্ছে, কেউ বা জায়গা না পেয়ে দাড়িয়ে খাচ্ছে। আবার কেউ আাবার পার্সেল করে বাসার সবার জন্য নিয়ে যায়।
পিঠা খেতে আসা এইচ এম মামুনের সাথে কথা হয় দৈনিক বাংলাদেশ বাণীর, মামুন বলেন, শীতে এসব পিঠা খেতে খুব মজা। শীতে শরীরে কিছুটা উষ্ণতা ছড়াতে গরম গরম পিঠা খেতে ভারি উপাদেয়। তাই আমিসহ কয়েকজন প্রায় প্রতিদিনই এখানে পিঠা খেতে আসি। শীতের সাথে পিঠার ঐতিহ্যগত সম্পর্ক।
চরফ্যাসন শহর ঘুরতে আসা মামুনুর রশীদ জানায়, শীতের সাথে চিতই পিঠার একটা আবহমান সম্পর্ক, শীতটাকে আমরা উদযাপন করি পিঠার সাথে। আমি কয়েকদিন চরফ্যাশন শহরসহ এখানকার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখছি। দেখা যায়, প্রতিদিন বিকেলে নানান শ্রেণির মানুষ এখানে পিঠা খেতে আসে এখানে। পরিবেশটা সন্ধ্যার পর জমজমাট হয়ে পিঠা ভোজনরসিকদের উপস্থিতে।
মৌসুমী পিঠার দোকানী শাহাবউদ্দীন সাথে কথা বললে দোকানী জানায়, আলহামদুলিল্লাহ বেচাবিক্রি ভালই হচ্ছে। প্রতিদিন আট থেকে দশ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি হচ্ছে। আমাদের দোকানে গভীর রাত পর্যন্ত পিঠা বেচা বিক্রি চলে। দৈনিক আট- দশ হাজার টাকার বেচাবিক্রি হয়। তবে আরো কয়েকদিন পর বিক্রি আরো বাড়বে।