নিজস্ব প্রতিবেদক
বরিশালের রূপাতলী এলাকার বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল মামুন। এক সময় ওষুধ কোম্পানিতে চাকরী করতেন। আওয়ামীলীগ আমলে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সাথে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করলেও এখন তিনি বিএনপি-এনসিপি-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাথে ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেন। এই সব নেতাদের ব্যবহার করে এখন তিনি মেতেছেন মামলা বাণিজ্যে, এমনটাই অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
আওয়ামী লীগ আমলে তিনি সাদিক আবদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান জয়সহ প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে ছবি তুলে তা ফেসবুকে প্রচার করতেন। ৫ আগস্টের পর এখন তিনি মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার, এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলাম, হান্নান মাসউদসহ শীর্ষ সারির একাধিক নেতৃবৃন্দের সাথে ঘনিষ্ঠ ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেন। প্রভাবশালী এসব নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে তিনি মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য হাসিল করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে তিনি এসব নেতৃবৃন্দকে ভুল বুঝিয়ে ব্যবহার করে থাকেন বলে অভিযোগসূত্রে জানা যায়।
এনসিপি/বৈছাআ’র মামলা বাণিজ্যে তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন রূপাতলী এলাকার একাধিক বাসিন্দা। মামুন মামলায় জড়িয়ে তাদের হয়রানি করছেন বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগী এসব ব্যক্তিবর্গ। বরিশালে সম্প্রতি জুলাই আন্দোলনের ৯ মাস পর মামলা দায়ের করে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বরিশাল জেলা শাখার যুগ্ম সদস্য সচিব মারজুক আবদুল্লাহ। অনেক নিরাপরাধ ব্যক্তিকে মামলায় জড়িয়ে অর্থ বাণিজ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে মারজুকের বিরূদ্ধে। এমনকি এ নিয়ে তার সাংগঠনিক পদও স্থগিত করা হয়েছে।
মারজুকের বক্তব্যে জানা যায়, ওই মামলার সবাইকে তিনি চেনেন না। অনেকের পরামর্শ নিয়ে আসামীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি তিনি পাল্টা অভিযোগ করেছেন, নাম দেয়া-বাদ দেয়া নিয়ে অনেকে তাকে অনুরোধ করেছেন। এ নিয়ে তাদের সাথে ব্যাপক মতবিরোধের ব্যাপারটি তিনি উল্লেখ করেছেন। এই মামলায়ই মামুন তার ব্যক্তিগত শত্রæতা ও স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে রূপাতলী এলাকার কয়েকজনের নাম জড়িয়েছেন। ভূক্তভোগী ব্যক্তিদের অভিযোগ, ব্যক্তিগত শত্রæতা উদ্ধার ও মামলা বাণিজ্য করতেই মামুন তাদেরকে মামলায় জড়িয়েছেন। তাদের দাবি, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন করে মামুনকে যথোপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হোক।
এদিকে মামলা বাণিজ্যসহ যাবতীয় অভিযোগের বিষয়ে মামুন জানান, আমি ব্যক্তিগতভাবে কোন রাজনৈতিক দল করি না। বিভিন্ন জায়গায় অনেক রাজনৈতিক নেতাসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোকজনের সাথে আমার দেখা হয় বা হয়েছে। হয়তো কারো কারো সাথে ছবিও তুলেছি, এটা যদি অন্যায় হয় তাহলে আমার কিছু করার নেই। মাদক ব্যবসা ও মামলা বাণিজ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, “মাদক ব্যবসাতো দূরের কথা, নিজে আমি একটা সিগারেটও খাইনা। তার বিরূদ্ধে আনিত সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে তিনি দাবি করেন।”
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।