বাংলাদেশ বাণী ডেস্ক॥
♦ আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি ♦ সেনাবাহিনী-পুলিশ মোতায়েন ♦ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ জুবায়ের-সাদপন্থিদের ♦ ঢামেকেও সংঘাত ♦
গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। তাদের টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় দুই পক্ষই একে অন্যকে দায়ী করেছে। ঘটনার পর গতকাল সকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান। তিনি বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ে সচিবালয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচ উপদেষ্টা।
সংঘর্ষে নিহতরা হলেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দু গ্রামের বাচ্চু মিয়া (৭০), ঢাকার দক্ষিণখানের বেড়াইদ এলাকার বেলাল হোসেন (৫৫) ও বগুড়ার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম (৬৫)। এ ছাড়া ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলাল নামে একজন মারা গেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় বিস্তারিত জানা যায়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী মাওলানা সাদ অনুসারীদের ইজতেমা ময়দান ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় স্থানীয় প্রশাসন। গতকাল দুপুরে এ নির্দেশ আসার পরই মাওলানা সাদ অনুসারীরা ইজতেমা ময়দান ছেড়ে দিতে শুরু করেন। অন্যদিকে সংঘর্ষের ঘটনার বিচার ও ইজতেমা ময়দান জুবায়েরপন্থিদের বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন জুবায়েরপন্থিরা। সকাল ১০টায় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মুলাইদের পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় এ অবরোধ করেন তারা। এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর সাদ অনুসারী মাওলানা রেজা আরিফ সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁরা বিশ্ব ইজতেমার মাঠ ছাড়ার পর সরকার ওই মাঠের দায়িত্ব নেবে। সাদপন্থিদের দাবি, কামারপাড়া থেকে স্লুইস গেট পর্যন্ত সড়কে ঘুমানোর প্রস্তুতি নেওয়ার সময় রাত সাড়ে ৩টায় জোবায়েরপন্থিরা তাঁদের দিকে ইটপাটকেল, জ্বলন্ত মশাল নিয়ে হামলা করে। অন্যদিকে জুবায়েরপন্থিরা দাবি করেন, ইজতেমার মাঠে অবস্থানকালে রাত সাড়ে ৩টায় ছুরি, ক্ষুর, হাতুড়ি, ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালান সাদপন্থিরা।
গতকাল দিনভর রাজধানীর কাকরাইল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে। গতকাল টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করে পৃথক গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) এবং ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
জানা যায়, ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা পালন করেন কাকরাইল মারকাজের মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা। এরপর ইজতেমা মাঠে ২০ ডিসেম্বর থেকে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা পালনের ঘোষণা দেন দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা। তবে সাদের অনুসারীদের জোড় ইজতেমা করতে না দেওয়ার দাবিতে ১৩ ডিসেম্বর টঙ্গী-কালীগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা।
সচিবালয়ে সাদ ও জুবায়েরপন্থিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি প্রথমেই গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি আমাদের যে চারজন ভাই শহীদ হয়েছেন, আল্লাহ যেন তাদের বেহেশত নসিব করেন। আর যারা আহত হয়েছেন তারা যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। তাদের সুচিকিৎসার জন্য যদি কোনো ব্যবস্থা নিতে হয় আমরা অবশ্যই নেব। হত্যাকাে যারা জড়িত, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো ছাড় দেওয়ার অবকাশ নেই।’ সাদপন্থিরা বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তারা দুই পক্ষ যদি আলোচনা করে সমাধান করতে পারে, তাহলে সাদপন্থিরা ইজতেমায় অংশ নিতে পারবেন। ইজতেমার তারিখ সরকার বাতিল করেনি। তারা আলোচনা করুক।’ এদিকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মো. মামুনুল হক বলেছেন, ‘এ সংঘর্ষে নিহত হওয়ার ঘটনা নয়। সাদপন্থিরা হামলা করে চারজনকে হত্যা করেছে। আমরা এমন তথ্য পাচ্ছি, পেশাদার খুনিদেরসহ এ অভিযান পরিচালনা হয়েছে। এটি দুই পক্ষের সংঘর্ষ বলে সংবাদ প্রচার হচ্ছে কিন্তু এটি একপক্ষীয় হামলা ও আক্রমণ।’
সাদ অনুসারী মুফতি মু’আয বিন নূর ইজতেমা মাঠ থেকে গণমাধ্যমকে বলেন, বিভিন্ন স্থানে সাদপন্থিরা আক্রমণের শিকার হয়েছেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে কামারপাড়া থেকে স্লুইস গেট পর্যন্ত সড়কে ঘুমানোর প্রস্তুতি নেওয়ার সময় জুবায়েরপন্থিরা তাদের ওপর ইটপাটকেল ও জ্বলন্ত মশাল নিক্ষেপ করে আক্রমণ শুরু করে। সেখান থেকেই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এক পর্যায়ে জুবায়েরপন্থিদের ধাওয়া দিয়ে সাদপন্থিরা মাঠে প্রবেশ করেন। জুবায়েরপন্থিদের নেতা মুফতি আমানুল হক কাকরাইল মসজিদ থেকে বলেন, ইজতেমার মাঠে অবস্থানকালে রাত সাড়ে ৩টায় ছুরি, ক্ষুর, হাতুড়ি, ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালান সাদপন্থিরা।
গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিব ইস্কান্দার বলেন, মঙ্গলবার ইজতেমা ময়দানে অবস্থান করছিলেন মাওলানা জুবায়ের আহমদের অনুসারিরা। পরে মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা তুরাগ নদের পশ্চিম তীর থেকে কামারপাড়া ব্রিজসহ বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে থাকেন। এ সময় মাঠের ভিতর থেকে জুবায়ের অনুসারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। জবাবে সাদের অনুসারীরাও পাল্টা হামলা চালান। এক পর্যায়ে সাদপন্থিরা মাঠে প্রবেশ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাসদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। গতকাল সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘সাদপন্থি সমর্থিত “সচেতন ছাত্র সমাজের” দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি এবং সকাল ১০টার মধ্যে মাওলানা সাদ সাহেবের ভিসার জন্য বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণার কারণে আমরা অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে সাদপন্থিদের সঙ্গে আলোচনার জন্য টঙ্গী যাই। সেখানে আলোচনা শেষে তারা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন এবং মাওলানা সাদ সাহেবের ভিসা জটিলতা নিরসনে পুনরায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে তারা টঙ্গী ময়দানে জোড়ের শর্ত দেন এবং ২৫ তারিখ মাঠ ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দেন। টঙ্গীতে এ তিনটি বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় আমরা এটাও স্পষ্ট করি এগুলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। এ বিষয়ে কাকরাইলে মাওলানা জুবায়ের সাহেব এবং ওলামায়ে কেরামের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সে পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে হবে। এ উদ্দেশ্যে রাত ২টায় কাকরাইলে আলোচনার জন্য যাই। সেখানে মাওলানা মাহফুজুল হক ও মাওলানা মামুনুল হকসহ অন্য আলেমরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে পৌঁছানোর পর সাদপন্থিদের একজন মুফতি সাহেবের একটি পোস্ট আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়, যেখানে খি ত ভিডিও প্রচার করে বলা হয়েছে আমরা নাকি তাদের জোড় করার অনুমতি দিয়েছি। এটি আমাদের সিদ্ধান্তের সম্পূর্ণ বিপরীত। কাকরাইলে আলোচনাকালে সেখানে আলেমদের উপস্থিতিতে আমরা তাদের স্পষ্টভাবে জানিয়েছি যে, আমরা কোনো কর্তৃপক্ষ নই। আমরা আলোচনা করে কাকরাইল থেকে টঙ্গী গিয়ে কথা বলব এবং এরপর পারস্পরিক মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। আলোচনার মাঝেও সাদপন্থি ওই মুফতি সাহেবকে ফোন দিয়ে বলেছি, আপনারা যদি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার আগে ইজতেমার ময়দানে প্রবেশ করেন, তাহলে আমাদের সঙ্গে আপনাদের সম্পর্ক থাকবে না। আমরা কাকরাইলে আলেমদের উপস্থিতিতে সাদপন্থিদের আরও বলেছি, কোনোভাবেই আপনারা ময়দানে প্রবেশ করবেন না এবং আমাদের নিয়ে যে ভিডিও প্রচার করেছেন, তা মুছে ফেলবেন। কিন্তু এর আগেই এ নির্মম ঘটনা ঘটেছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’ সব ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে শান্ত ও ধৈর্য ধারণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা না করে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আহ্বান করছি। তাবলিগ একটি দীনি ও ধর্মীয় ইস্যু। ফলে আমরা মনে করি, তাবলিগসহ ধর্মীয় সব বিষয় ওলামায়ে কেরামের মাধ্যমেই সুরাহা ও মীমাংসিত হবে। তবে সমগ্র বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা রক্ষার দায়ভার আমাদের প্রত্যেক নাগরিকের। দেশের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে শান্তিপূর্ণ সমাধান ও অবস্থানের জন্য আমরা সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করে যাব।’
ইজতেমা ময়দান ছাড়েন মুসল্লিরা : টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের আশপাশের ৩ কিলোমিটার এলাকা, রাজধানীর কামারপাড়া, আবদুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ এবং তৎসংলগ্ন তুরাগ নদের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় যে কোনো ধরনের সভাসমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ ইত্যাদি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এ ঘোষণার পর ইজতেমা ময়দান ছাড়তে শুরু করেন মুসল্লিরা। তাদের শামিয়ানা কাঁধে নিয়ে বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি ও পিকআপে করে কিংবা পায়ে হেঁটে নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হতে দেখা গেছে।
উত্তরা ও তুরাগ নদসংলগ্ন এলাকায় সভাসমাবেশ নিষিদ্ধ ডিএমপির : ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তুরাগ নদের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় যে কোনো প্রকার সভাসমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ ইত্যাদি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হলো।
ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষে আহত ৪০ জন ঢামেকে : ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ ফারুক জানান, টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা মাঠ থেকে এখন পর্যন্ত ঢামেকে আহত হয়ে ৪০ জন এসেছেন। তাদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঢামেকে বেলাল নামে এক মারা গেছেন। আহতরা হলেন ফয়সাল (১৮), অজ্ঞাত (৬০), নুর ইসলাম (৪২), অজ্ঞাত (৫২), খোরশেদ আলম (৫০), আলাউদ্দিন (৩৫), সাদ (২০), সালাউদ্দিন (৫০), আলম (৫০), আবদুল্লাহ (৫০), ফোরকান (২৫), নুরুল হাকিম (৩০), মো. সাইফুল (৩৮), আশরাফ (৩৫), রিশাদ (৩০), আলী হোসেন (৩৫), আবদুল বাতেন (৬০), ফয়সাল (১৯), আবদুল্লাহ (২১), মাহমুদুল হাসান (৩৫), সাঈদ (৪০), আবু হানিফ (৩৫), ইউসুফ (২৮), আনোয়ার (৫০), খলিলুর রহমান (৪৩), অজ্ঞাত (৬০), সালাউদ্দিন (৫৫), আবদুল্লাহ (৬০), কামরুজ্জামান (৪৫), সাদ (২০), অজ্ঞাত (৫০), অজ্ঞাত (৫০), অজ্ঞাত (৫০), সালাউদ্দিন (৬৫)। এদের মধ্যে সাতজনকে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন ফয়সাল (১৮), অজ্ঞাত (৫০), আবদুল হান্নান (৬০), নুর ইসলাম (৪২), সিয়াম (২৪), রিশাদ (৩০) ও অজ্ঞাত (৫০)।
কাকরাইল মসজিদ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার : টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কাকরাইল মসজিদ ও ঢামেক হাসপাতাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র?্যাব মোতায়েন করা হয়। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে গতকাল সকাল থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক জানান, কাকরাইল মসজিদ ও আশপাশ এলাকায় পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। র্যাব-৩-এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফয়জুল ইসলাম জানান, টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কাকরাইল মসজিদ ও ঢামেক হাসপাতাল এলাকায় র্যাব-৩-এর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।