চরফ্যাশন প্রতিনিধি: চরফ্যাশনে এক শিক্ষককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। আহত শিক্ষকের নাম আরিফ হোসেন সেলিম। তিনি উপজেলার চর নাজিম উদ্দিন গ্রামের মৃত আব্দুল আলী হাওলাদারের ছেলে এবং জাহানপুর শের-ই- বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক।
সোমবার বিদ্যালয় যাওয়ার পথে কুতুবগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় মেইন সড়কে এঘটনা ঘটে। ঘটনার পর প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষক আরিফ হোসেন সেলিম বলেন,উত্তর নাজিম উদ্দিন মৌজায় দিয়ারা খতিয়ান নং ১৩৩, দাগ নং ১০৪৫, ১০৪৬,১০৪৭ এবং ১০৫২ দাগের ১০শতাংশ জমি নিয়ে চাচা হানিফ হাওলাদার আমার সাথে বিরোধ করছে।
এই জমি নিয়ে একাধিক সালিশী রায়ে আমি ওই জমির মালিক প্রমানিত হয়েছি এবং আমি ওই জমি ভোগ দখলে আছি। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আমাকে ঘায়েল করতে ২০১৬ সনে চাচা হানিফ হাওলাদার তার পুত্র বধুকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে আমার বিরুদ্ধে ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করান যার কম্পিলিন পিটিশন নম্বর ৮০৭/১৬ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা নং ২৩০/২০১৭।
কিন্তু অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় ২০১৮সনে আমি ওই মামলা থেকে অব্যাহতি পাই। গত সোমবার আমি বিদ্যালয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি হতে রওয়ানা হয়ে কুতুবগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় পৌছলে মেইন সড়কের উপর হানিফ হাওলাদারের ছেলে রাজ্জাক ওরফে রাজিব ও মামুন এবং নসু রাজের ছেলে আরিফসহ ৭/৮ জন আমার মটর সাইকেলের গতিরোধ করে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে রাস্তায় ফেলে লোহার রড ও চা পাতি দিয়ে এলোপাথারী মারধর করে।
আমার পকেটে থাকা বিদ্যালয়ের মেরামত কাজের ৯০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এবং মোবাইল ফোন ভেঙ্গে ফেলে। এসময় আসে পাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা আমাকে সঙ্গাহীন অবস্থায় রাস্তায় ফেলে চলে যায়। এব্যাপারে আইনী আশ্রয় নিবেন বলে জানান আরিফ হোসেন সেলিম।
অভিযুক্ত রাজিব জানান,তার সাথে জমি নিয়ে আমাদের বিরোধ আছে ঠিক তবে কে বা কাহারা তাকে মারধর করেছে তা আমাদের জানা নাই।
চরফ্যাশন থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, এঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।