নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের প্রথম সারির নেতৃত্বে থাকা সাদনান খান ছিলেন ছাত্রলীগের সব অপকর্মের নির্দেশদাতাদের একজন।
শেবাচিম ছাত্রলীগের ‘স্লোগান মাস্টার’ হিসেবে খ্যাত সাদনান খান এবং তার ছাত্রলীগ বন্ধুদের নেতৃত্বে চলতো শেবাচিম ‘নির্যাতন কক্ষের (Rag Room) ‘ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। শারীরিকভাবে অপমানিত অপদস্ত করার পাশাপাশি নতুন শিক্ষার্থী ও আদেশ লঙ্ঘনকারী শিক্ষার্থীদের বাবা মা’কে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করতো সাদনান ও তার ছাত্রলীগ বন্ধুরা।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের গ্রুপে সাদনান ও অন্যান্য ছাত্রলীগ নেতারা বিভিন্ন পরিকল্পনা করতো। নিজের অপকর্ম চলমান রাখতে কখনো সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর দলে, কখনো সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের দলে, কখনো খোকন সেরনিয়াবাতের দলের হয়ে কাজ করতেন তিনি।
২০২৩ সালে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতের হয়ে সরাসরি নৌকা মার্কার প্রচারণা কাজে যোগ দেয় সাদনান ও তার ছাত্রলীগ বন্ধুরা।
এসব প্রচার কাজের বেশকিছু ছবি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এসেছে।
তাছাড়া তার তখনকার ফেসবুক পেজের বেশ কিছু স্ট্যাটাসে তিনি ছাত্রলীগের হয়ে কাজ করার প্রমাণ পাওয়া যায়। এসব স্ট্যাটাসের স্ক্রীন শর্ট দৈনিক বাংলাদেশ বাণীর কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
এসব কাজে তিনি সন্ধানীর সদস্যদেরকে ব্যবহার করার প্রমাণ রয়েছে। আওয়ামী জাহেলিয়াতের যুগে অপছন্দের জুনিয়রদেরকে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির ট্যাগ দিয়ে ভীত সন্ত্রস্ত করে রাখতো সাদনান গং।
শেবাচিম ছাত্রলীগের সমস্ত অপকর্মের নির্দেশদাতা ও সরাসরি ছাত্রলীগ করা সাদনান ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর ছাত্রলীগ থেকে হয়ে উঠলো সন্ধানী’র অন্তর্বর্তীকালীন আহ্বায়ক। স্বৈরাচার হাসিনার শাসনামলে ছাত্রলীগের ক্ষমতায় সন্ধানী কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন সাদনান খান।