কামাল তুহিন
ভোলায় অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ড বাংলাদেশের উদ্যোগে ভোলার লালমোহন ও বোরহানউদ্দিনে মহিষ উন্নয়ন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। দুই উপজেলার ৪০ জন খামারি এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপকূলীয় অঞ্চল ভোলার মহিষ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ শীর্ষক প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক ও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি কন্ট্রোলার ড. কে. এম.এ তারেক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পবিপ্রবি’র জেনেটিক্স ও অ্যানিমেল ব্রিডিং বিভাগের এম.এস শিক্ষার্থী কামাল উদ্দিন তুহিন ও তামজিদ হোসাইন।
ড. তারেক বলেন, ‘মহিষ এই অঞ্চলের সম্ভাবনাময় একটি পশু। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে পালন করলে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব।’ তিনি খামারিদের কাছে মহিষ পালনে বিভিন্ন সমস্যার কথা জানতে চান এবং সমস্যার সমাধানে বিভিন্ন পরামর্শ দেন। ভবিষ্যতে মহিষ পালনে তাদের সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এম এস শিক্ষার্থী তুহিন বলেন, আমি ভোলার সন্তান। ভোলার মানুষের সাথে মহিষ পালনের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এখান থেকে আগ্রহ পেয়েই, আমি আমার মাস্টার্সের গবেষণায় পবিপ্রবির জেনিটিক্স অ্যান্ড অ্যানিমেল ব্রিডিং বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শারমিন আক্তারের তত্বাবধানে মহিষ নিয়ে কাজ করছি। সঠিক গবেষণা ও সেই গবেষণার ফল খামারিদের কাছে পৌঁছাতে পারলে খামারিরা আরও লাভবান হবে।
মহিষ খামারি শিপন বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন।এবং বলেন এ ধরনের আরও কর্মশালা হলে তারা মহিষ পালনে আরও বেশি সচেতন হতে পারবেন।
খামারিরা বলেন, তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা খাদ্য এবং পানি। জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত নদীর পানি লবনাক্ত থাকায় পর্যাপ্ত ঘাস উৎপাদন করা সম্ভব হয় না। তাই লবণ সহনশীল ঘাসের বীজ তাদের পৌঁছাতে পারলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। এবং তারা এ কর্মশালার মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান পেয়েছেন বলেও জানান।
এ প্রজেক্টের সহকারী প্রকল্প পরিচালক হিসেবে রয়েছেন পবিপ্রবি’র ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আশরাফুল ইসলাম, এস এম শাজাহান এবং এক্সপার্ট মেম্বার হিসেবে রয়েছেন প্রফেসর ড. কাজী শারমিন আক্তার।