আজিম উদ্দিন খান, লালমোহন ভোলা প্রতিনিধি।।
লালমোহনের প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান হা- মীম রেসিডেনসিয়াল একাডেমী এবার এসএসসি পরীক্ষায় ১০৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৪৫টি জিপিএ-৫ সহ প্রতি বছরের মতো পুরো জেলার মধ্যে শতভাগ পাসের সাফল্য ধরে রেখেছেন।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার এই ফলাফলে লালমোহন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৩৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফেল করেছেন ৬৪ জন শিক্ষার্থী। লালমোহন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৫৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফেল করেছেন ৬২ জন শিক্ষার্থী। কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফেল করেছেন ৪৬ জন। ফুলবাগিচা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফেল করেছেন ৩১ জন। গজারিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফেল করেছেন ৩৭ জন। গজারিয়া গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৬০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফেল করেছেন ২১ জন।
এছাড়া দ্বীপ শিখা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফেল করেছেন ৪২ জন। দেবিরচর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফেল করছেন ৩৬ জন। আশ্রাফনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফেল করেছেন ১৫ জন শিক্ষার্থী। হাজিরহাট টিএ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফেল করেছেন ৩৬ জন। জনতা বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফেল করেছেন ২৬ জন।
অন্যদিকে, লর্ডহার্ডিঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফেল করেছেন ৫০ জন। ধলীগৌরনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৩৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফেল করেছেন ৯২ জন। ডাওরী হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফেল করেছেন ৭৩ জন। করিমগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফেল করেছেন ১১ জন। চতলা মোহাম্মদীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফেল করেছেন ৫১ জন। রায়চাঁদ উদয় চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফেল করেছেন ৫৬ জন। উল্লেখ্য যে, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীরাও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থী বলে অনুসন্ধানে জানা যায়। তথ্যে আরো জানা যায় পাশের হারের চেয়ে ফেলের হার প্রায় দ্বিগুণ। এই ফলাফলে অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। লালমোহন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ফেল করা শিক্ষার্থীর অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা পাঠদানের চেয়ে আভ্যন্তরীণ কোন্দল ও রাজনৈতিক রেষারেষির কারনে আজ ফলাফলের এই অবস্থা।
এদিকে, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ লালমোহন উপজেলার সকল শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আজিজ। তিনি জানান, আমরা এই পরীক্ষাটি অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছি। তবে এই পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি তাদের অনুরোধ করবো আরো ভালো করে পড়ালেখা করে আগামী বছরের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।