বিশেষ প্রতিবেদক ।।
ভোলা’র তজুমদ্দিনের আলোচিত কবির হত্যাকান্ডের আড়াই মাস পেড়িয়ে গেলে ও অদৃশ্য কারণে কোনো আসামী কে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
উল্টো মামলা করার কারণে বাদীর পরিবারকে হুমকী দিয়ে আসছে আসামীরা। এ নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও উৎকন্ঠা।
বাদীর পরিবারকে হত্যার হুমকী, হুমকীর বিষয়ে থানায় অভিযোগ করার পর ও মেলেনি কোনো প্রতিকার। এতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে নিহত কবিরের পরিবার।
বর্তমানে নিহত কবিরের ছোট ভাই কামরুল আসামীদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানা যায়।
এক অডিও বার্তায় ভুক্তভোগী কামরুল জানান,কয়েকদিন আগে আমাকে না পেয়ে আসামী পক্ষের খালেকের ছেলে গিয়াস,রত্তনের স্ত্রী মমতাজ,আলাউদ্দিনের স্ত্রী ইয়ানুর,রুহুল আমিন এর স্ত্রী রাশেদা মিলে আমার বোন এবং মা কে ঘরে তালা মেরে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলবে বলে প্রকাশ্যে হুমকী দেয়।
পরে হুমকীর বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
এদিকে কবির হত্যায় প্রথমে থানায় মামলা না নেওয়ায় ক্ষোভে ফুসে ওঠে এলাকাবাসী। তারা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন। কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয় এ মানববন্ধনে। এরপর পাঁচ জনকে আসামী করে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী পরিবার। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অজুহাতে কোনো আসামীকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। ইলেকট্রিক শর্টে কবির মারা যায় বলে স্থানীয় গনমাধ্যমকে জানায় পুলিশ।
তবে ফরেনসিক রিপোর্টে ইলেকট্রিক শর্টের কথা উল্লেখ নেই বলে জানায় একটি বিশ্বস্ত সূত্র।
নিহত কবিরের পরিবারকে হুমকীর বিষয়ে তজুমদ্দিন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহব্বত খান বলেন, নিহত কবিরের পরিবারের পক্ষ থেকে সুরমা বেগম নামের এক নারীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ১আগষ্ট শম্ভুপুর ইউনিয়ন ৭নম্বর ওয়ার্ডে নিজ বাড়ীর পাশে পরিত্যাক্ত পুকুরে ভাসমান অবস্থায় বাক প্রতিবন্ধী কবিরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর দুদিন আগে তার চাচাতো ভাই এবং চাচা মিলে কবিরকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকী দেন বলে জানায় তার পরিবার। তারপরের দিন বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন কবির। কবিরকে হত্যার পর পানিতে ফেলে রাখা হয়েছে বলে দাবী করেন তারা।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।