কাজল দে হিজলা প্রতিনিধি।।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হিজলার মেঘনা নদীর মোহনায় মা ইলিশ শিকারের জন্য অবৈধ কারেন্ট জাল ও ট্রলার দিয়ে মাছ ধরার প্রস্তুতি কালে ২৭জন জেলেকে আটক করেছে মৎস্য কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনী ও নৌপুলিশ সদস্যরা।
হিজলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম জানান, নদীতে নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ড দিয়ে তাড়ানোর পরে সংযুক্ত খালে জেলেরা ট্রলার সহ খালে অবস্থান করলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়ে জেলেদের জালসহ আটক করা হয়েছে। মা ইলিশ রক্ষায় মেঘনা নদীতে আমাদের কঠোর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, ইলিশ মাছের প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইনে ৪অক্টোবর থেকে ২৫অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২দিন সারাদেশে ইলিশের ধরা, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলা মৎস্য দপ্তর,কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ মেঘনা নদীতে নজরদারি জোরদার করেছে এবং ২৪ ঘণ্টাব্যাপী টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এর ধারাবাহিকতায় সোমবার (১৩অক্টোবর) সকাল থেকে মৎস্য দপ্তর, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী,কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ সদস্যরা মেঘনা নদীর মোহনা ও তৎসংলগ্ন এলাকা (শান্তির বাজার, চৌমুহনী বাজার, বোম্বে শহর) সংলগ্ন মেঘনা নদী ও খালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর, কোস্ট গার্ড হিজলা ও নৌ পুলিশ ফাঁড়ি অভিযান পরিচালনা করেন।
যৌথ অভিযানে ২৭জনকে আটক, ২২লাখ মিটার কারেন্ট জাল ও ১২কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে। সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ মারুফুল ইসলাম, মাসুদ পিও (মিউস) -সিসি কোস্টগার্ড, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম এই যৌথ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
জব্দ করা জাল উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং জব্দকৃত ইলিশ মাছ স্থানীয় মাদরাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইলিয়াস সিকদার জানান, আটককৃত ২৭জেলেকে ১লাখ ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।