লালমোহন প্রতিনিধি।।
ভোলার লালমোহন উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিয়া ২৬ অক্টোবর , রবিবার সন্ধ্যায় লর্ডহার্ডিঞ্জ বাজারে দূর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন।
পরে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় তিনি নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে সক্ষম হন। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় বাজারের একটি ফার্মেসিতে বসা ছিলেন। এসময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত অতর্কিত হামলা চালায়।
সেখান থেকে উপস্থিত জনতার প্রতিরোধে দূর্বৃত্তদের হাত থেকে সাধারণ জনগণ রক্ষা করে নিরাপদে নিয়ে যান। তবে চেয়ারম্যানের সাথে থাকা লর্ডহার্ডিঞ্জ বাজার কমিটির সভাপতি নজির মেম্বার ও মুসা নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে আহত করে।
এসময় তাঁর কাছে থাকা দুই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে জানান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিয়া। এ হামলায় তাঁর প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের লোকেরা জড়িত রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তাদের সাথে স্থানীয়, এরশাদ, ফরিদ, কাঞ্চন, কামরুল ,বেলাল, আলমগীর, মামুন ও হানিফ নামের ব্যাক্তিরাসহ অচেনা আরো অনেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে দাবি করেন প্রত্যক্ষদর্শী বিভিন্ন সূত্র।
চেয়ারম্যান আবুল কাশেম আরো বলেন, বিএনপি নেতা ইব্রাহীমের নির্দেশে আমার উপর এই হামলা হয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ইউনিয়ন সভাপতি পদ প্রত্যাশী মোঃ ইব্রাহীমের সাথে আলাপ করলে তিনি হামলার কথা স্বীকার করে বলেন, “এই হামলার সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং তার প্রতিবেশী ফরিদকে আওয়ামী লীগের আমলে মামলা দিয়ে হয়রানি করায় সে এই হামলা করেছে বলে আমরা শুনেছি।” উল্লেখ্য যে গত ৫আগষ্টের পর তিনি এলাকায় অবস্থান করে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এবছরের প্রথম দিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে চেয়ারম্যান থেকে বাদ দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ দেন। কিন্তু পরবর্তীতে আবার আদালতের রায়ে তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে বহালের রায় পান। রায় নিয়ে আসলে তিনি এই হামলার শিকার হন। এঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে বলে জানান অনেকেই।
এ ব্যাপারে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।