নিজস্ব প্রতিবেদক।।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘যুবসমাজের ভুল সংশোধনে রাসূলুল্লাহ (স.) কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ ও বর্তমান সমাজে এর বাস্তবায়ন : একটি পর্যালোচনা’ শীর্ষক এম. ফিল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৯ নভেম্বর) বেলা বারোটায় দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আয়োজনে ধর্মতত্ত্ব অনুষদের সভাকক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রহিম উল্যাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অলী উল্যাহ। আলোচক ছিলেন দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলী ও অধ্যাপক ড. তরীকুল ইসলাম। এসময় একই বিভাগের ড. এস এম রেজওয়ান, ড. গোলাম মাওলা, ড. হুসাইন আহমাদ, ড. মো: সোলাইমান, ড. মাসউদ আল মাহদী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাছির উদ্দিন মিঝি, একই বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকী, ড. এ বি এম জাকির হোসেন এবং ড. এ কে এম রাশেদুজ্জামান, আল হাদীস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নাছির উদ্দিন, ড. জাকির হুসাইন ও ড. ময়নুল হক, আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. শামছুল হক ছিদ্দিকী ও ড. ওবায়দুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের ২৮জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
দা’ওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অলী উল্যাহর তত্ত্বাবধানে বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী মো: নাসরুল্লাহ ‘যুবসমাজের ভুল সংশোধনে রাসূলুল্লাহ (স.) কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ ও বর্তমান সমাজে এর বাস্তবায়ন : একটি পর্যালোচনা’ শিরোনামে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। মো: নাসরুল্লাহর এমফিল গবেষণা শিরোনাম হচ্ছে : আদর্শ যুবসমাজ গঠনে রাসূলুল্লাহ (স.)-এর ভূমিকা।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, একটি সুন্দর ইসলামি সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় মহানবী (স.)-কে সঙ্গ দিয়েছিলেন একঝাঁক তরুণ-যুবক। তাঁরা জীবনের মায়া তুচ্ছ করে মহানবী (স.)-কে সব ধরনের সহযোগিতা করে গেছেন। যুবসমাজের সহায়তায় নবুয়তপ্রাপ্তির আগ থেকেই তিনি মানবমুক্তির সংঘবদ্ধ শক্তিতে পরিণত হন। আর এ কথা সত্য যে কোনো কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠীকে উৎখাতের মাধ্যমে একটা সুশীল সমাজ গড়তে সর্বাগ্রে প্রয়োজন যুবসমাজের সংঘবদ্ধতা।
তারা আরো বলেন, যুবকেরাই পারে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে কালো রাজপথ রাঙিয়ে তুলতে। সীমাহীন ত্যাগ-কোরবানির মাধ্যমে সমাজসংস্কারে ব্রতী হতে। তারাই পারে ঘুণে-ধরা শোষিত সমাজকে ভেঙেচুরে সুন্দর সমাজ উপহার দিতে।
উল্লেখ্য, ইবির ২০১৭ সালে প্রণীত এমফিল অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী এই প্রথম এমফিল সেমিনার অনুষ্ঠিত হলো। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকে এমফিল ডিগ্রি লাভের জন্য কোনো সেমিনারের শর্তারোপ করা হতোনা।