নিজস্ব প্রতিবেদক॥
নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে পুলিশে সোপর্দ করেছে ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ শিক্ষার্থীরা। রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে তাদের কোতোয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়। বিকেলে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।
থানায় সোপার্দ করা শিক্ষার্থীরা হলেন- ব্রজমোহন কলেজের দর্শন বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র রাশেদ খান (২৮) ও একই কলেজের ইংরেজি বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সৌমিক বিন আলী (২৭)। রাশেদ নগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ডের সোবাহান মিয়ার পোল সংলগ্ন এলাকার এবং সৌমিক নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিপুর বাজার সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা।
ব্রজমোহন কলেজের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন সোহাগ বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার আজ (রোববার) একটি কর্মসূচি নিয়েছে। কোন সাহসে নিয়েছে সেটা আমরা জানি না। আর এর ধারবাহিকতায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের দুইজন কর্মী বেশকিছু সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ক্যাম্পাসে আসে। তারা এসে নাশকতার পরিকল্পনাসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্তদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছিলো। বিষয়টি আমার জানার পরই তাদের দু’জনকে ধরে বিস্তারিত জানতে চাই। ওই দুইজনকে ধরার পর অন্যরা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। আটক রাশেদ ও সৌমিককে আমরা আগে থেকে চিনলেও তারা জিজ্ঞাসাবাদে ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত নয় বলে জানায়। অথচ তারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলমান থাকা অবস্থায় সবসময় আমাদের ওপর হামলা করেছে এবং হামলার চেষ্টা চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে তাদের মোবাইল চেক করা হলে দুই-তিন দিন আগে বরিশালে আওয়ামী লীগের গডফাদার সাদিক আব্দুল্লাহকে নিয়ে পোস্ট করার বিষয়টি সামনে আসে। আমরা নাশকতার বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা এসে তাদের ধরেছে। তবে তাদের সবাই মারধর করতে চাইলে আমরা তা দেইনি।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, দুজন শিক্ষার্থীকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা থানা পুলিশের নিকট নিয়ে এসেছে। তাদের নাম-পরিচয়সহ ছাত্রলীগ করে কিনা এবং কোন ঘটনার সাথে জড়িত কিনা সে বিষয়ে যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। যাচাই বাছাই শেষে আপনাদের বিস্তারিত জানাতে পারবো। আর তারা যদি কোন ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।