সোলায়মান তুহিন গৌরনদী প্রতিনিধি।।
বরিশাল–ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার সাউদের খালপার এলাকায় দ্রুতগামী অজ্ঞাত পরিবহনের ধাক্কায় বেকারির হকার কুদ্দুস খান (৩৫) ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেছেন। মঙ্গলবার (২ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনা আবারও প্রমাণ করল—এই মহাসড়কে ফোর লেন নির্মাণ এখন আর বিলাসিতা নয়, সময়ের কঠিনতম দাবি।
নিহত কুদ্দুস খান উত্তর বাউরগাতি গ্রামের ইঙ্গুল খানের পুত্র। জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন ব্যাটারি চালিত ভ্যানে বেকারির মালামাল বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে বাড়ি ফিরতেন তিনি।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি শামীম শেখ জানান, সেদিনও প্রতিদিনের মতো বেকারির মালামাল বিক্রি শেষে ব্যাটারি চালিত ভ্যানযোগে বাড়ি ফিরছিলেন কুদ্দুস। রাত পৌনে ৯টার দিকে সাউদের খালপাড় মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদের সামনে পৌঁছলে পিছন দিক থেকে দ্রুতগামী একটি অজ্ঞাত পরিবহন তার ভ্যানটিকে প্রচণ্ড জোরে ধাক্কা দেয়।
ধাক্কায় ভ্যানটি মুহূর্তেই দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে কুদ্দুস খানের নিথর দেহ। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ দ্রুত মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়। অজ্ঞাত পরিবহন শনাক্তের চেষ্টা চলছে, পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থাও প্রক্রিয়াধীন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বরিশাল–ঢাকা মহাসড়ক দেশের অন্যতম ব্যস্ত সড়ক হলেও এটি এখন যানবাহনের ভার বহন করতে হিমশিম খাচ্ছে। যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু রাস্তা আগের মতোই সরু। বিশেষ করে গৌরনদী অংশে অতিরিক্ত গতির যানবাহন, সড়ক সংকীর্ণতা এবং পর্যাপ্ত সেফটি ব্যবস্থা না থাকায় প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।
সচেতন মহলের দাবি, দক্ষিণাঞ্চলে প্রবেশের প্রধান দ্বার এই মহাসড়কটি দ্রুত ফোর লেনে উন্নীত না করলে সামনের দিনে আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা, প্রাণহানি ও জনদুর্ভোগ অনিবার্য হয়ে উঠবে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন, কিন্তু নিরাপত্তার ঘাটতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।
নিহত কুদ্দুস খানের পরিবার হতবিহ্বল। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে তারা অসহায় হয়ে পড়েছে। এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয়রা দ্রুত মহাসড়কের আধুনিকায়ন ও ফোর লেন বাস্তবায়নের জোর দাবি জানিয়েছেন।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।