রবিবার, ডিসেম্বর ৭, ২০২৫

বরিশালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড-অ্যাড. মুয়াযযম হোসাইন হেলালের সান্ত্বনা

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

বরিশাল নগরীর বাজার রোড দপ্তর খানায় শনিবার বিকেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে চারটি দোকান ও একটি ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হলে মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা পানি ঢালাসহ আগুন নেভানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

মুহূর্তে শেষ হয়ে গেল ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের পরিশ্রম। আগুনে দোকান পুড়ে গেছে,জীবন রবি দাসের জুতার দোকান,নুরনবি জন্টুর ফার্নিচার,বারেক মিয়ার কসমেটিকস,শাহ আলমের কাঁচামালের দোকান

দোকান মালিকদের কেউই আগুনের হাত থেকে মালামাল বের করতে পারেননি। পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে মালিকরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। বহু বছরের স্বপ্ন, পরিশ্রম আর মূলধন মুহূর্তেই ছাই হয়ে যায়। ঘটনার খবর পৌঁছাতেই দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন বরিশাল-৫ আসনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল। তিনি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর ভেতরে ঢুকে ক্ষতিতে হতবাক হয়ে পড়েন। একে একে প্রতিটি দোকান মালিকের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের হৃদয়বিদারক কথা শোনেন এবং দীর্ঘসময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন।

তিনি বলেন,“এ ঘটনাটি সত্যিই হৃদয়বিদারক। মানুষের জীবনের সঞ্চয় ও পরিশ্রম এভাবে পুড়ে যেতে দেখা খুব কষ্টের। আপনাদের ক্ষতি কোনো হিসেবেই পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে আল্লাহর রহমত, আপনারা সবাই নিরাপদে আছেন এটাই বড় নেয়ামত।”

তিনি আরও বলেন,“বরিশালে যে যেখানে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পরে দেখেছি আল্লাহ তাদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন। আপনারাও হতাশ হবেন না। নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি আল্লাহ আপনাদের দেবেন।”

ক্ষতিগ্রস্তরা নিজেদের দুঃখ জানালে তিনি তাদের সান্ত্বনা দেন এবং বলেন,“কঠিন সময়েই মানুষের পাশে থাকা সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। আপনাদের পাশে আমরা ছিলাম, আছি এবং থাকবো। যে সহায়তা প্রয়োজন হবে, আমরা আমাদের যায়গা থেকে সম্ভব সেরাটা করার চেষ্টা করবো।”পরে তিনি দোকান মালিকদের মাঝে তাৎক্ষণিক আর্থিক সহায়তাও প্রদান করেন। পরবর্তীতে পাশে থাকার কথা বলেন

অ্যাডভোকেট হেলালের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন,মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমান,কর্মপরিষদের সদস্য মোঃ শামীম কবির,জাহাঙ্গীর কবির,মাহমুদ হোসাইন কামাল
সহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

তাদের উপস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো কিছুটা সাহস ফিরে পায় এবং ভবিষ্যতে পুনরায় ব্যবসা শুরু করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন,“নতুনভাবে শুরু করতে সহায়তা প্রয়োজন”অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংস হয়ে যাওয়া দোকানগুলো এখন শুধু ছাই আর পোড়া কাঠের স্তূপ। দোকান মালিকরা বলেন,“সব শেষ। আবার শুরু করতে চাই, কিন্তু একা পারবো না। একটু সহযোগিতা পেলেই আবার দাঁড়িয়ে যেতে পারবো।”

আরো পড়ুন

মাতৃ পরিচয় ফিরে পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ভাণ্ডারিয়ার ওয়াহিদুজ্জামান

ভাণ্ডারিয়া প্রতিনিধি।। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্ডে নিজ মায়ের নামের স্থানে ভুলবশত সৎ মায়ের নাম চলে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *