মোশাররফ মুন্না॥
বাংলাদেশ বেতার বরিশালের একজন তালিকাভুক্ত গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী আব্দুর রাজ্জাক রাজু। এক সময়ে গ্রাম-গঞ্জে শহর-নগরের অলি-গলিতে শোনা যেত তারই লেখা ‘আমার লাশের খবর’ বন্ধু শিারোনামের এই বিখ্যাত ইসলামী সংগীত। আজ অবদি তিনি লিখছেন অনবরত। সুরের সুন্দর এই ভুবনে একের পর এক উপহার দিচ্ছেন অসংখ্য জনপ্রিয় সংগীত। বরিশাল বেতার থেকে প্রচারিত হয়েছে তার বহু জনপ্রিয় গান। গীতি কবিতার সংকলন ‘গীতির গহীনে স্মৃতি’ বইটি তারই লেখা প্রথম গ্রন্থ। বইটি ইতোমধ্যে পাঠক সমাদৃত হয়েছে। দুই শতাধিক গানের সমারোহের বইটিতে পাঠকরা খুঁজে পাবেন ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের অসাধারণ সব জনপ্রিয় গানের সম্মিলন।
বাংলাদেশের সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পথিকৃত সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী, দক্ষিণবাংলা তথা বরিশালের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন হেরাররশ্মি শিল্পীগোষ্ঠী এবং সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার খুলনার ঐতিহ্যবাহী টাইফুন শিল্পীগোষ্ঠীসহ সারাদেশের নানা প্রান্তে বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠীর এলবামে রয়েছে তার লেখা ও সুর করা অসংখ্য সংগীত। তিনি গানে দেশ মাতৃকা, মাটি ও মানুষ, জীবন-মৃত্যু, আধুনিক ও আধ্মাতিকতাসহ নানা অনুসঙ্গ তুলে ধরেছেন। সুরের ফল্গু ধারায় ফুটিয়ে তুলেছেন ইসলামী, ভাটিয়ালি, পল্লীগীতি ও আঞ্চলিকতার অমীয় সুধা। তার রয়েছে একাধিক জনপ্রিয় বরিশালের অঞ্চলিক গান। যে গানগুলো বিশেষ করে বরিশালকে ছাপিয়ে সারাদেশের সংগীত প্রিয় মানুষের হৃদয়ে হাসি আনন্দের ঝড় তুলতে সক্ষম হয়েছে।
একাধারে গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী আব্দুর রাজ্জাক রাজু একজন উচুমানের সাংস্কৃতিক সংগঠক ও পৃষ্ঠপোষকও বটে। ছাত্র জীবন থেকে সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি সুস্থ ধারার সংস্কৃতি বিকাশে কাজ করেছেন এবং বর্তমানে করছেন পৃষ্ঠপোষকতা।
গীতিকার সুরকার ও শিল্পী আব্দুর রাজ্জাক রাজু ১৯৭১ সালের ১৫ জুলাই বরগুনা জেলার পাথরঘাটার সাহেরাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শিল্প সাহিত্যের নানা শাখা-প্রশাখায় বিরণশীল গুণি মানুষটি চরদুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, খুলনার দৌলতপুর দিবা-নৈশ কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক ও বিএ পাশ করেন। তিনি মাস্টার্র্স ডিগ্রী অর্জন করেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে।
বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক বরিশালের যুগ্ম পরিচালক পদে কর্মরত রয়েছেন। তবে ১৯৯৪ সালে বরগুনার বামনা উপজেলা শিক্ষা অফিসে কর্মজীবন শুরু করেন । ১৯৯৭ সালে যোগদান করেন বাংলাদেশ ব্যাংকে। বর্তমানে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলেসহ বরিশাল শহরে বসবাস করছেন।