দৌলতখান প্রতিনিধি।।
ভোলার দৌলতখানে একটি জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ সাইক্লোন সেল্টারে চলছে দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পাঠদান। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ যাবত কোন সংস্থা বা সরকারি বেসরকারিভাবে ভবন নির্মাণের জন্যও বরাদ্দ পায়নি। ফলে প্রায় ৫০ বছরেও প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়নি। মাদ্রাসার জন্য ব্যবহৃত ও নির্মিত গৃহে পর্যাপ্ত জায়গার সংকুলান না হওয়ায় বাধ্য হয়ে কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ সাইক্লোন সেল্টারের চারটি কক্ষের একটি কক্ষে অফিস ও অপর তিনটি কক্ষকে শ্রেণি কক্ষ হিসেবে পাঠদানের জন্য ব্যবহার করে আসছেন।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত মধ্য পূর্ব জয়নগর জলিলিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি স্বাধীনতা উত্তর মুসলিম রাড়ি বাড়ির দরজায় জলিলিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা নামে কার্যক্রম শুরু করে। প্রথমে মক্তব হিসাবে প্রতিষ্ঠানটি শুরু করলেও ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠানটি জলিলিয়া দাখিল মাদ্রাসায় উন্নীত হয়। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার প্রায় চার যুগ অতিক্রম হলেও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর হতে এ যাবৎ কোন একাডেমিক ভবন বরাদ্দ হয়নি। ১৯৯৭ সালে মাদ্রাসা সংলগ্ন ডিডিএম এর অর্থায়নে চার কক্ষবিশিষ্ট একটি একতলা সাইক্লোন সেল্টার এলজিইডি নির্মাণ করে। বর্তমানে জরাজীর্ণ সাইক্লোন সেল্টারের সিলিং এর আস্তর খসে পড়ছে। বর্ষায় একটু বৃষ্টিপাতেই ছাদ দিয়ে পানি ঝরছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের কে পাঠদানের কার্যক্রম। গত সপ্তাহে এলজিইডি নির্মিত জড়াজীর্ণ ও জীর্ণশীর্ণ চার কক্ষ বিশিষ্ট এ সাইক্লোন সেল্টার টিকে জাতিসংঘের অধীনস্থ জরিপ সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল পরিদর্শনে এসে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেন।
প্রতিষ্ঠান প্রধান মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ওলিউল্লাহ জানান, দীর্ঘদিনের অবহেলিত এই প্রতিষ্ঠানে একাডেমিক ভবন নির্মাণ না করায় চার শতাধিক শিক্ষার্থীর পড়ালেখার বিঘœ ঘটছে। শীঘ্রই প্রতিষ্ঠানটির পড়ালেখার উন্নয়নের জন্য একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণ প্রয়োজন। প্রতিষ্ঠানটিতে একটি অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য এলাকাবাসী ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন।