শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫
pirojpur
pirojpur

হাসিনার ছবিতে ‘হা হা রিঅ্যাক্ট’, ছাত্রদল কর্মীদের বেধড়ক পেটাল ছাত্রলীগ

পিরোজপুর প্রতিনিধি‍॥

পিরোজপুরের নেছারাবাদে ফেসবুকে শেখ হাসিনার ছবিতে ‘হা হা রিঅ্যাক্ট’ দেওয়ার ঘটনায় ছাত্রদলের তিন কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) সকালে জুলুহার বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতরা ছাত্রদল কর্মীরা হলেন- মো. হাসান, সিয়াম এবং রিয়ান। অন্যদিকে অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার জুলুহার গ্রামের মো. সহিদুল ইসলামের ছেলে মো. রিয়াদ, মজিবুর রহমানের ছেলে সিয়াম এবং ফারুক হোসেনের ছেলে ফারজু। অভিযুক্তরা সবাই সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সক্রিয় ছাত্রলীগ কর্মী।

হামলায় আহত ছাত্রদলকর্মী সিয়াম শেখ অভিযোগ করে বলেন, জুলুহার গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুর রহমানের ছেলে রিয়াদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেখ হাসিনার ছবি পোস্ট করেন। সেই ছবিতে আমরা হা হা রিঅ্যাক্ট দিয়েছিলাম। এ কারণে রোববার সকালে জুলুহার বাজারে রিয়াদ, সিয়াম, ফারজুসহ ১০ থেকে ১২ জন ছাত্রলীগের লোকজন লোহার রড দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়।

অপর আহত ছাত্রদল কর্মী মো. হাসান বলেন, রিয়াদ তার বাহিনী নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় রিয়াদের চাচা সোহাগ আমাদের চেপে ধরে রাখে। আর রিয়াদ আমাদের পিটাতে থাকে।

অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্তদের মুঠোফোনে কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়।

সমুদয়কাঠি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আখতার হোসেন বলেন, তারা ক্ষমতায় না থেকেও আমাদের ছাত্রদলের ভাইদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। ক্ষমতায় থাকাকালীন গোটা ইউনিয়নে রিয়াদ ও তার বাহিনী সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে বেড়িয়েছে। আইনের মাধ্যমে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।

সমুদয়কাঠি ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, রোববার সকালে দুদল বাজারে মারামারি করেছে বলে জানতে পেরেছি। শুনেছি ছাত্রলীগের ছেলেরা ফেসবুকে নাকি শেখ হাসিনার ছবি ছেড়েছিল। ছাত্রদলের ছেলেরা তাতে হা হা রিঅ্যাক্ট দেওয়া নিয়ে ঘটনা ঘটেছে।

আরো পড়ুন

পিরোজপুরে নববর্ষ উপলক্ষে সাঁতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

পিরোজপুর প্রতিনিধি পিরোজপুরে নববর্ষ উপলক্ষে বলেশ্বর নদীতে  সাতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পিরোজপুর জেলা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *