গোলাম কিবরিয়া, বরগুনা॥
আশারচর শুঁটকিপল্লিতে গিয়ে দেখা যায়, ছয় শতাধিক জেলে ও মালিকপক্ষ শুঁটকি উৎপাদন করার লক্ষ্যে ছোট ছোট ২৪টি ঘর তৈরি করছেন। কেউ কেউ ঘর উঠিয়ে শুঁটকি তৈরিতে মাছ রোদে শুকাচ্ছেন। একের পর এক মাছ ধরা ট্রলার সমুদ্র থেকে আসছে। ২৫ প্রজাতির মাছের শুঁটকি তৈরি করা হয় এখানে। এর মধ্যে রুপচাঁদা, ছুরি, কোরাল, সুরমা, লইট্টা, পোপা অন্যতম। যেসব জেলেদের ঘর ওঠানো শেষ হয়েছে তাঁরা মাছগুলো বাঁশের মাচায় ও মাদুরে করে রোদে শুকাচ্ছেন। জানা যায়, এই শুঁটকিপল্লিতে কাজ করে জীবিকা চলে হাজারো শ্রমিকের। এ ছাড়া এখানকার শুঁটকি মাছের গুঁড়া সারা দেশে পোলট্রি ফার্ম ও ফিশ ফিডের জন্য সরবরাহ হয়ে থাকে। এদিকে ডিজেলের দাম বেশি থাকায় চিন্তার ভাঁজ এখানকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
একাধিক জেলে ও ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রধান সড়ক থেকে শুঁটকিপল্লি পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তাটা খুবই খারাপ। এই রাস্তা মেরামত করে দিলে আমরা শুঁটকি ট্রাকে লোড দিতে পারব। এতে পরিবহন খরচ কম হবে। এ ছাড়া টয়লেট ও বিশুদ্ধ পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। ব্যবসায়ী সত্তার বলেন, শুঁটকি তৈরির আগেই এখান থেকে সরকারিভাবে এসব শুঁটকি বিদেশে রপ্তানির উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক। আমাদের দেশ থেকে সরকারিভাবে শুঁটকি রপ্তানির কোনো ব্যবস্থা নাই।
বশির ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম বেশি থাকায় এই বছর ব্যবসা কেমন হবে, এই নিয়ে চিন্তায় আছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উসেম্ম সালমা বলেন, যে কোনো প্রকল্প থেকে রাস্তাটি ঠিক দেওয়ার জন্য চেষ্টা করা হবে। এ ছাড়া বিশুদ্ধ পানির জন্য টিউবওয়েল ও টয়লেটের ব্যবস্থাও করা হবে।