বাংলাদেশ বাণী ডেস্ক॥
কেন্দ্রের নির্দেশনা অমান্য করে নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউন দেওয়ায় শোকজ করা হয়েছে বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক ও সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদারকে।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা শোকজ নোটিশ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে মহানগর বিএনপির দুই নেতার কাছে পৌঁছেছে।
নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় দপ্তরে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক ও সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার।
তারা বলেছেন, নোটিশে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে আমরা বরিশাল বিমানবন্দর থেকে শোডাউন করে সদর রোড দলীয় কার্যালয়ে গিয়েছি।
তারা বলেন, ‘আমরা কোনো শোডাউন করিনি। আমাদের আশার খবরে নেতাকর্মীরা সেখানে ভিড় করেছিলেন। তারপরও কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে যথাসময়ে শোকজের জবাব দেবো।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক বলেন, ‘শোকজ নোটিশ পেয়েছি। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে শোডাউনের যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটা সঠিক নয়। মূলত আমাদের ঢাকা থেকে ফেরার খবরে উৎসুক নেতাকর্মীরা স্বপ্রণোদিত হয়ে এগিয়ে আসেন। আমরা দু’জন পৃথক গাড়িতে ছিলাম।
যদিও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে গত ১১ জানুয়ারি দুপুরের দিকে বরিশালে ফেরেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক ও সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার। এ সময় বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের নগরীর গড়িয়ারপাড় থেকে সদর রোড দলীয় কার্যালয়ের সামনে পর্যন্ত বিশাল শোডাউন করেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, ওইদিন দুই নেতাকে বহনকারী সাদা রঙের প্রাইভেটকার এবং কালো রঙের মাইক্রোবাসের পেছনে ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিকদলসহ বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অসংখ্য মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউনে অংশ নেন। এর ফলে নগরীর ব্যস্ততম নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, সিএন্ডবি রোড, চৌমাথা, বটতলা এবং সদর রোড পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। শোডাউন শেষে সদর রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক ও সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার।