নিজস্ব প্রতিবেদক॥
হিজলা উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়নের পালপাড়া গুচ্ছ গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে ৫ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী সুরভি আক্তার (১৬) নামে এক গৃহবধুকে হত্যা করে স্বামী।
স্ত্রীকে হত্যা করেই পালানোর সময় স্বামী পারভেজ চৌকিদারকে আটক করেছে পুলিশ। আটক স্বামী মোঃ পারভেজ চৌকিদার ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার সাম্রাজ বাউলতলা এলাকার ইউসুফ চৌকিদারের ছেলে। রোববার (২৪ নভেম্বর ) রাত আনুমানিক ৮টার সময় ধুলখোলা ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডস্থ গুচ্ছ গ্রামে হত্যার ঘটনাটি ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ। ওসি আরো বলেন স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। মরদেহ উদ্ধার করা হিজলা থানা পুলিশ জানান, স্থানীয়দের বরাতে জানতে পারি, ভিকটিম এবং তার স্বামী একই ঘরে অবস্থান করছিল এবং স্বামী তাকে হত্যা করে পালিয়ে যাচ্ছেন।
এরপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় সুরভীর স্বামী ঘাতক পারভেজ চৌকিদারকে উলানিয়া লঞ্চঘাটে নোঙর করা ঢাকাগামী একটি লঞ্চ থেকে আটক করা হয়।
পরবর্তীতে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি। নিহতের স্বামী মোঃ পারভেজ চৌকিদারকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। নিহত সুরভী আক্তার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উত্তর উলানিয়া ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামের মোঃ সবুজ বাঘার এবং শিউলী বেগম দম্পত্তির একমাত্র মেয়ে। সবুজ বাঘা দরিদ্র হওয়ায় পাশ্ববর্তী ধুলখোলা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সরকারি গুচ্ছ গ্রামের একটি ঘর বরাদ্দ পেয়ে সেখানে বসবাস করেন।
ঘটনার কয়েক দিন আগে মেয়ে-জামাই তাদের সেই বাড়িতে বেড়াতে যান। এদিকে সুরভির বাবা সবুজ বাঘা জানান, আড়াই বছর আগে পারভেজ চৌকিদারের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। মেয়ে সন্তান প্রসবের আগে বাবার বাড়িতে বসবাস করছিল। জামাই ঢাকা থাকতেন সেখান থেকে ১০-১৫ দিন আগে আমাদের বাড়ি আসে। ঘটনার দিন বিকালে মেয়ে -জামাইকে ঘরে রেখে আমরা স্বামী-স্ত্রী আমাদের পুরাতন বাড়িতে যাই, ওই দিন রাত ৮টার সময় বাড়িতে ফিরে দেখি আমার মেয়ের গলায় ওড়না প্যাচানো লাশ ফ্লোরে পড়ে আছে, জামাই ঘরে নেই। তা দেখার সাথে সাথে যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে, সাথে সাথে তারা কান্নায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
হত্যার শিকার স্ত্রী সুরভী আক্তার ৫ মাসের অন্তঃ স্বত্ত্বা ছিলেন। এদিকে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।