নিজস্ব প্রতিবেদক॥
বাকেরগঞ্জ উপজেলার কাটাদিয়া খেয়াঘাটে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ আছে ইজারাদারের বিরুদ্ধে। কয়েকবছর ধরে সাধারণ যাত্রীরা এ বিষয়ে অভিযোগ করে আসছেন। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে ইজারাদারদের দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন অনেকে।
সম্প্রতি দাড়িয়াল ইউনিয়নের উত্তর কাজলাকাঠী গ্রামের বাসিন্দা আতিকুর রহমান অতিরিক্ত ভাড়া ও ইজারাদারদের দুর্ব্যবহারের প্রতিকার চেয়ে বরিশাল জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি আবেদেন করেছেন। অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ৫ টাকার ভাড়া ১০ টাকা চাওয়ার প্রতিবাদ করায় আমাকে মেরে পানিতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয় ইজারাদার সোহেল। আমি এর বিচার এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করার দাবি জানিয়ে জেলা পরিষদে অভিযোগ করি।
তবে যাত্রীর সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত সোহেল। তিনি বলেন, ছাত্র পরিচয় দেওয়ার পর আইডি কার্ড দেখতে চাওয়ায় আতিকুর রহমান উল্টো রেগে যান। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে সোহেল বলেন, কাটাদিয়া খেয়াঘাটে যাত্রী পারাপার খুবই কম হয়। যে পরিমাণ টাকা দিয়ে টেন্ডার নিতে হয়- তাতে লোকসান গুনতে হয় আমাদের।
এ ব্যাপারে জানতে দাড়িয়াল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলাম হাওলাদারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি। দাড়িয়াল ও চরামদ্দি ইউনিয়নের সংযোগ স্থাপনকারী কাটাদিয়া খেয়াঘাটে নিয়মিত পারাপার হন এমন একাধিক যাত্রী জানান, এতো ছোট নদীতে ১০ টাকা পারাপারের ভাড়া আশেপাশের কোথাও নেই। অনেক জায়াগায় এর চেয়ে কয়েকগুণ বড় নদীতেও ৫ টাকা ভাড়া নেয়া হয়; কিন্তু কাটাদিয়ায় জনপ্রতি ১০ টাকা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
তাদের অভিযোগ, কোন যাত্রী ফেরিতে পার হলেও তার কাছে থেকে খেয়া ভাড়া আদায় করা হয়। মালামাল নিয়ে কেউ পার হলে ইজারাদার ইচ্ছেমতো টাকা আদায় করেন। সরেজমিনে কাটাদিয়া খেয়াঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ভাড়ার কোন তালিকা টানানো নেই। যাত্রীদের অভিযোগ ইজারাদার সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি আদায় করতেই তালিকা টানাননি। তাদের আশা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হবে এই
নৈরাজ্য।