মো. নুর উল্লাহ আরিফ, চরফ্যাশন (ভোলা)॥
চরফ্যাশনে দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে কমিনিউটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারগণ। তারা নিয়মিত প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা দিলেও দীর্ঘদিন বেতন না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্বিষহ দিনাতিপাত করছেন। হতাশা বিরাজ করছে তাদের মাঝে।
চরফ্যাশন উপজেলায় ২১ টি ইউনিয়নে মোট ৬৭ জন কমিনিউটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইটর কর্মরত। নিয়মিত সুচারুরূপে দায়িত্ব পালন করলেও পাঁচ মাস ধরে বেতনভাতা পাচ্ছেন না। তারা চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে বেতন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বর্তমান ঊর্ধ্বগতির বাজারে দীর্ঘদিন বেতন না পাওয়ায় তারা পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্বিষহ দিনাতিপাত করছেন। গত জুলাই মাসে চাকরি রাজস্বখাতে নেওয়ার দাবীতে তারা ঢাকায় আন্দোলন করে। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করে সিএইচসিপিরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উন্নয়ন খাত থেকে চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর জটিলতার কারণে বেতন বন্ধ আছে সিএইচসিপিদের। বেতন বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে চরম অর্থ কষ্টে আছে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরা।
নওয়াব আলী বাঘা বাড়ি কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার রাহাত হালিম বলেন, আমরা তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছি। অথচ আমাদের বেতনভাতা বন্ধ, বেতনভাতা বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে নিদারুণ অর্থকষ্টে আছি আমরা। অর্থ কষ্টে দুর্বিষহ জীবন আমাদের।
আরেক কমিনিউটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার বলেন, পাঁচ মাস নিয়মিত কাজ করেও বেতন পাচ্ছি না। সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। কবে বেতন পাব তার কোন নিশ্চয়তা নেই। দ্রুত বেতনভাতা পেতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি কামনা করছি।
চরফ্যাশন উপজেলা কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ জসিমউদদীন বলেন, চাকরি উন্নয়ন খাত থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরে স্বাস্থ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন। যা গত পাঁচ মাসেও হয়নি। যে কারণে বেতন না পেয়ে আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শোভন বসাক বলেন শুধু চরফ্যাশন নয়,সারা দেশেই বেতনভাতা বন্ধ রয়েছ।