আমতলী প্রতিনিধি॥
বরগুনার আমতলীতে বিকাশ ব্যবসায়ী ও কলেজ ছাত্র কাশেম হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাজার কমিটি ও এলাকাবাসী। আমার ভাই আব্দুল কাশেম মোল্লার হত্যার দুই মাস পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কোন আসামী গ্রেপ্তার করেনি। বারবার আমতলী থানার ওসি ও তদন্তকারী কর্মকতার কাছে গিয়েও কোন লাভ হয়নি। যতবার পুলিশের কাছে গিয়েছি ততবার হয়রানীর শিকার হয়েছি। আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের পুলিশ ইচ্ছে করেই গ্রেপ্তার করছেন না। আমি কি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার পাব না? শনিবার বেলা ১১ টায় আমতলী উপজেলার কলাগাছিয়া বাজারে ব্যবসায়ী কলেজ ছাত্র আবুল কাশেম মোল্লার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবীতে মানববন্ধনে আক্ষেপ করে এ কথা বলেছেন নিহতের বড় ভাই হাসান মাহমুদ মোল্লা। বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর আয়োজনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে পাঁচ শতাধিক নারী—পুরুষ অংশ নেয়।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার কলাগাছিয়া বাজারের বিকাশ ব্যবসায়ী কলেজ ছাত্র আবুল কাশেম মোল্লাকে (২৫) গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে তার বাড়ীর সামনে অন্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে নগদ ছয় লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। পরে তাকে ধান খেতে ফেলে রেখে যায় সন্ত্রাসীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় নিহত কাশেম মোল্লার বাবা মোঃ নুর উদ্দিন মোল্লা বাদী হয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাত আসামী করে আমতলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার দুই মাস ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ আসামী গ্রেপ্তার করতে পারেনি। উল্টো পুলিশ মামলার বাদীর লোকজনকে হয়রানী করছেন এমন অভিযোগ নিহত আবুল কাশেমের বড় ভাই হাসান মাহমুদ মোল্লার। এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার দাবীতে শনিবার বেলা ১১ টার দিকে কলাগাছিয়া বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে। আব্দুর রাজ্জাক প্যাদার সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রফিক বিশ্বাস, মনির ঘরামী, নুরুল ইসলাম, আব্দুস সালাম মৃধা, শহীদুল মোল্লা, হাবিবুল্লাহ, মাসুম বিল্লাহ, জাহাঙ্গির হাওলাদার, নজরুল মোল্লা ও মোসাঃ মারুফা বেগম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা আবুল কাশেমের হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী করেছেন। উল্লেখ্য আবুল কাশেম মোল্লা পটুয়াখালী সরকারী কলেজে প্রাণী বিজ্ঞাণ বিষয়ে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের অধ্যায়নরত ছিল। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি কলাগাছিয়া বাজারে বিকাশের ব্যবসা করতো।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, পুলিশ আসামী গ্রেপ্তার করছে না এবং বাদী পক্ষের লোকজনকে হয়রানী করছে এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন। এ হত্যাকান্ডটি ক্লুলেস। ক্লুলেস এ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের পুলিশ চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার চেষ্টা অব্যাহত আছে। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে কয়েকজনকে সন্দেহ করেছি কিন্তু তারা এলাকায় নেই। তারা মোবাইল ব্যবহার করছে না। সঠিক তথ্য উদঘাটনে বরগুনা পুলিশ সুপার স্যারও কাজ করছেন।