মঙ্গলবার, জানুয়ারি ৭, ২০২৫

বোরহানউদ্দিনে জোর করে জমি দখলের অভিযোগ

কুঞ্জেরহাট প্রতিনিধি ‍॥
ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মোঃ রাব্বি বলেন,আমার বাবা অয়াজিউল্লাহ এক হিন্দু পরিবারের দুই ভাই থেকে ১০৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন।
তারপর চাচা শফিউল্লাহ তার আরেক ভাই থেকে ১০৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন  দীর্ঘ ৪২ বছর আমরা দুই পরিবার সমানভাগে জমি ভোগ দখল করে এসেছি।  কিন্তু আমার চাচা সাবেক পুলিশ সদস্য ও আমার চাচাতো ভাই চট্টগ্রামে বিমানবাহিনীতে কর্মরত মোঃ হাসনাইন জোরপূর্বক বোরহানউদ্দিন থেকে লোক ভাড়া করে এনে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্রসহ আমাদের পিলার উপড়ে ফেলে সে জমি দখলে নেয়।
এমনকি আমরা কেউ বাড়িতে না থাকায় আমাদের মা বোনদের অকট্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
এ বিষয়ে জমির খরিদদার সাবেক সেনা কর্মকর্তা অয়াজিউল্লাহ জানান,১০৬ জমি আমি ১৯৮৩ সালে ক্রয় করি আমার ভাই-ও ১০৬ জমি ক্রয় করে, কিন্তু মুল মালিকের জমি কম থাকায় আমরা কম খাই, আমার দখলে আছে ৯০ শতাংশ, আমার ভাইয়ের দখলে আছে ৯৩ শতাংশ।
এখন আমার ভাইয়ের ১০৬ এর যতটুকু জমি কম তা আমার জমি থেকে কেটে দখলে নিয়ে নিতে চায়।
কিন্তু আমার জমি  কম থাকা সত্ত্বেও সেটা তারা দেখেন না। মুল মালিকের জমি কম থাকলে দুইজনের মধ্যেই সমান ভাগে বিভক্ত করতে হবে।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য বলেন,সমস্ত কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে যদি জমি আমার হয় আমি নিবো, আর যদি আমর ভাইয়ের হয় আমার ভাই নিবে এতে আমার কোন আপত্তি নেই।
এ বিষয়ে রাব্বির মা মাহমুদা বেগম বলেন, আমার স্বামী ভোলা এবং  ছেলে পরীক্ষার জন্য লালমোহন কলেজে  থাকায় এই সুযোগে তারা লোক জন ভাড়া করে এনে জমি দখল করে, আমি মহিলা মানুষ সেখানে গেলে আমাকে অকর্থ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে রাব্বির স্ত্রী মুন্নী আক্তার জানান, আমার স্বামী এবং আমার শ্বশুর বাড়িতে না থাকায়। তারা যখন বোরহানউদ্দিন থেকে দলবল নিয়ে সন্ত্রাসী ভাড়া করে জমি দখল করতে আসে তখন আমি এবং আমার শাশুড়ি সেখানে গেলে হাসনাইন বিমান বাহিনীতে চাকরি করে, সে চাকরির প্রভাব খাটিয়ে আমাদেরকে দেশীয় অস্ত্র দেখান তিনি আমাকে বলেন এখান থেকে যদি না যাই তাহলে আমাদেরকে অনেক খারাপ কিছু করে ফেলবে। এমনকি এরকম অনেক বিশ্রী ভাষায় আমাদেরকে গালিগালাজ করে আমি হাসনাইনের বিচার চাই
এ বিষয়ে সালিশ মনির আমিন বলেন, সালিশ চলমান রয়েছে আমাদের এক সালিশ শেখ সাদি হাওলাদার ঢাকায় থাকার কারণে বিলম্ব হচ্ছে।
আরেক সালিশ কাচিয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শেখ সাদি হাওলাদার জানান, আমার আগেও ৪-৫ চেয়ারম্যান এর সালিশ করেছে।
তারা দুই ভাই ঘাড়তেরা তারা কারো কথা কেউ শোনে না। উভয় পক্ষের সালিশের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। পরে তার এক ভাই অয়াজিউল্লাহ তিনি কোথায় যেন চলে গিয়েছেন। আমরা তাকে ফোন দিয়েছি সে ফোন ধরে নাই। এজন্য আমরা সমাধান দিতে পারিনি ।
অন্যদিকে এ বিষয় অভিযুক্ত সফিউল্লাহ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সব মিথ্যা ও বানোয়াট, শালিসরা আমাকে এই জমি বুঝিয়ে দিয়েছে তাই আমি ব্যারা দিয়ে দখলে নিয়েছে।
তার ছেলে বিমানবাহীনির সদস্য বলেন, আমি কোন প্রভাব খাটাইনি মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।
এ বিষয়ে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

আরো পড়ুন

Monpura

মনপুরায় অবৈধ উপায়ে ট্যাংরা মাছ বিক্রি, জব্দ করেছে মৎস বিভাগ

মনপুরা প্রতিনিধি ‍॥ ভোলার মনপুরায় বাজারে বিক্রির সময় মেঘনা নদী থেকে অবৈধ উপায়ে ধরা এক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *