বুধবার, মার্চ ১২, ২০২৫
fire sarupkatrh
fire sarupkatrh

স্বরূপকাঠির মিয়ারহাট বন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড

রাহাদ সুমন,বিশেষ প্রতিনিধি: পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মিয়ারহাট বন্দর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৫০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

পরে বরিশাল, বানারীপাড়া, পিরোজপুর, কাউখালি ও স্বরূপকাঠি (নেছারাবাদ) ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটে প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা যায়, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বাজারের মাসুদ নামে এক ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ীর দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

এসময় মসজিদের মাইক থেকে আগুন নেভাতে এলাকাবাসীর সহায়তা চাওয়া হয়। একই সঙ্গে স্বরূপকাঠি ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিলে প্রথমে তারা ও পরে বরিশাল, বানারীপাড়া, পিরোজপুর ও কাউখালী ফায়ার স্টেশন কর্মীরা এসে স্থানীয়দের সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজ করেন। ততক্ষণে বাজারের প্রায় ৫০টি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ক্ষতিগ্রস্থ মিয়ারহাট বন্দর বাজারের ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে দোকানে যাই। গিয়ে দেখি আমার দোকানে আগুন জ্বলছে। কোনো মালামাল বের করতে পারিনি। আমার রঙের দোকানে প্রায় অর্ধকোটি টাকার বিভিন্ন হার্ডওয়ারের মাল ছিল, সব পুড়ে গেছে। আমার দুটি দোকান ছিল। দুটি দোকানই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

মিয়ারহাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাদল বেপারী বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আগুন লাগে। এতে আমাদের বাজারের প্রায় ৫০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখানে সবাই বড় ব্যবসায়ী হওয়ায় এতে আনুমানিক শতকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে  বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট প্রায় কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ধারণা করা হচ্ছে মাসুদ নামে এক ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ীর দোকান থেকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পরে জানা যাবে।

আরো পড়ুন

মেহেন্দিগঞ্জ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ঐতিহ্য

এইচ এম আনিছুর রহমান, মেহেন্দিগঞ্জ: মাটির তৈরি জিনিসপত্রের ব্যবহার শুরু হয়েছে প্রাচীনকাল থেকে। আমরা দৈনন্দিন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *