নিজস্ব প্রতিবেদক।।
পটুয়াখালী বাসস্ট্যান্ডে দুই বাসের রেষারেষিতে প্রাণ হারিয়েছেন সাবিকুন নাহার শশী (২৪) নামে এক মেডিকেল শিক্ষার্থী। শনিবার (১৪জুন) দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি বরিশালের জমজম আইএইচটি ম্যাটস এন্ড নার্সিং কলেজ -এর ‘ডিপ্লোমা ইন ল্যাবরেটরি মেডিসিন’ বিভাগের ছাত্রী।
তিনি গলাচিপা উপজেলার সদর ইউনিয়ন আট নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর বোয়ালিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর শিকদারের কন্যা। জানা গেছে, পরিবারের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটিয়ে বরিশালে ফিরছিলেন সাবিকুন। পটুয়াখালী সদর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে বরিশালের টিকিট কাটেন তিনি। বাসস্ট্যান্ড দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় দুটি বাস—একটি আন্তঃজেলা পরিবহন ও অন্যটি যাত্রীবাহী লোকাল বাস—পরস্পরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে পড়ে। কে আগে ছাড়বে, এই প্রতিযোগিতার একপর্যায়ে ‘বিসমিল্লাহ পরিবহন’ নামে একটি বাসের নিচে চাপা পড়েন সাবিকুন।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু বরিশাল পৌঁছার আগে পথেই মারা যান তিনি।
শশীর মরদেহ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং রবিবার ১৫জুন সকাল ৮টায় নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক গোড়স্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জমজম আইএইচটি ম্যাটস এন্ড নার্সিং কলেজের চেয়ারম্যান এস এম সাজ্জাদুল হক এঘটনার তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, বাসচালকদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এবং বেপরোয়া প্রতিযোগীতাই দুর্ঘটনার কারণ। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ও শশীর মৃত্যুর জন্য দায়ী বাসচালক ও হেলপারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।