নিজস্ব প্রতিবেদ।।
ভোলার লালমোহনে গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডে ৪টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মঙ্গলবার উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের দালাল বাজারের মাস্টার মো. হাবিব উল্যাহ মার্কেটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৩০লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের। বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মাস্টার মো. হাবিব উল্যাহ মার্কেটের মো. রায়হানের মায়ের দোয়া পার্স অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স, সোহাগ চন্দ্র দাসের ভাই-ভাই সেলুন, আরজু মিয়ার ভূষা মালের আড়ৎ এবং মো. জাকিরের চালের আড়ৎ।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মো. রায়হান জানান, রাতে আমি দোকানের ভেতর ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ প্রচণ্ড গরম লাগায় ঘুম ভেঙে যায়। এরপর উঠে দেখি পাশের সেলুনের দোকানে আগুন জ্বলছে। পরে আমার ডাকচিৎকার শুনে বাজারের অন্যান্য দোকানের লোকজন ও স্থানীয়রা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা আসেন। একঘন্টা চেষ্টা করেও দোকানঘর গুলো রক্ষা করা যায়নি। সবগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলেন, অগ্নিকাণ্ডে আমাদের প্রায় ৩০লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।
লালমোহন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় এক ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে।
এদিকে, বুধবার সকালে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের খোঁজখবর নিতে ছুটে যান লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আজিজ। এসময় ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা জিয়াউল হক নোমানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মাঝে শুকনা খাবার ও নগদ ১০হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সরকারিভাবে আরো সহযোগিতা দেয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন ইউএনও মো. শাহ আজিজ।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।