ভূঁইয়া কামাল, মুলাদী
বরিশাল জেলার মুলাদী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে ২০০৩ সালে হাওলাদার পরিবারে পিতা মো. সেন্টু হাওলাদার ও মাতা শিল্পী বেগমের ঘরে পুত্র সন্তান মিরাজ হোসেন জন্ম গ্রহণ করে। সে এখন উপজেলার মধ্যে নৃত্যের এক প্রতিভা। মিরাজ ২ ভাই বোনদের মধ্যে প্রথম। সে ছোট থেকেই লেখা পড়ার পাশাপাশি নাচ-গানের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়।
মিরাজ তৃতীয় শ্রেণি থেকেই নিজের ইচ্ছায় বাড়ীতে বসে বিভিন্ন টিভি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নৃত্যর অনুসরণ করে। এরপর থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নৃত্য প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণ করে।
২০১২ সালে উপজেলা পর্যায়ে শিশু পুরুষ্কার প্রতিযোগিতায় নৃত্যে ১ম স্থান অর্জন করে। তারপর থেকেই মিরাজ সাংস্কৃতিক অঙ্গে নৃত্যের প্রতি ঝুঁকে পড়ে। ২০১৫, ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ও জাতীয় শিশু পুরুষ্কার প্রতিযোগিতায় নৃত্যে উপজেলায় প্রথম ও জেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করে। ২০২২ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ লোক নৃত্য, তাৎক্ষণিক অভিনয়, জারীগানে উপজেলা জেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান। ২০২৩ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে উপজেলা, জেলা পর্যায়ে লোক নৃত্য ও জারীগানে দ্বিতীয় ও তাৎক্ষনিক অভিনয় জেলা পর্যায়ে দ্বিতী স্থান লাভ করে।
২০২৩ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত আঃন্ত কলেজ সাংস্কৃতিক ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় জেলা, বিভাগীয় পর্যায়ে একক নৃত্য ও দলীয় নৃত্য প্রথম স্থান লাভ করে বিভাগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে জাতীয় পর্যায়ে যাওয়ার সুযোগ লাভ করে।
২০২৩ সালে বাংলাদেশ স্কাউটস কর্তৃক আয়োজিত প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় জেলা নৃত্যে প্রথম ও বিভাগে পর্যায়ে প্রথম হয়ে জাতীয় পর্যায়ে অংশ করে সনদ অর্জন করি।
২০২৪ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ প্রতিযোগিতায় উপজেলা, জেলা ও বিভাগে লোক নৃত্য, জারীগানে প্রথম ও তাৎক্ষণিক অভিনয়ে জেলা পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে।
২০২৪ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত নৃত্য প্রতিযোগিতায় বরিশাল জেলা পর্যায়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে। মিরাজ বর্তমানে মুলাদী সরকারী কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
২০২৫ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত আঃন্ত কলেজ সাংস্কৃতিক ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় জেলা পর্যায়ে প্রথম ও বিভাগীয় পর্যায়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে।
বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ হল রুমে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নুরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজর অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ তাইজুল ইসলাম, বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজর অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. হারুন-অর-রশিদ। এছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ অতিথি ছিলেন।
এছাড়াও মুলাদী উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুলাদী সরকারি মাহমুদজান মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মুলাদী সরকারি কলেজে প্রতিবছর বিভিন্ন জাতীয় দিবস গুলোতে ডিসপ্লে শিখিয়ে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান হয়ে সাফল্য অর্জন করেছে।
মিরাজ ছোট থেকেই বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের হাত থেকে পুুরুস্কার গ্রহণ করার পর তার মধ্যে নৃত্যের আরো আগ্রহ বেড়ে যায়। সে সকলের দোয়া কাছে দোয়া প্রার্থী তার এ প্রতিভা যেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গিয়ে পৌছাতে পারে।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।