ভূঁইয়া কামাল, মুলাদী প্রতিনিধি।।
বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের লক্ষীরহাট গ্রামে আড়িয়াল খা শাখা নদীর উপর ৩০০ মিটার নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো রয়েছে। এলাকাবাসীদের নিজেদের টাকায় তৈরি করা এই সাঁকো দিয়ে ৫ গ্রামে অন্তগত ১৫ হাজার মানুষের চলাচল করতে হয়। নদীর এক পাড়ে রয়েছে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি মাদ্রাসা, অপর পাড়ে একটি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি বাজার। এ নড়েবড়ে বাঁশের সাঁকোতে দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পাড় হতে হয় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। তাতে প্রায় সময়ই দূর্ঘটনা ঘটে। রোগী থাকলে তো দূর্ভোগের মাত্র আরো বেরে যায়।
এলাকার কালাম হোসেন জানান, স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি আমাদের বাটামারা ইউনিয়নে লক্ষীরহাট গ্রামে। আড়িয়াল খা শাখা নদীর লক্ষীরহাট ঘাটে কোন সেতু না থাকায় চরম দূর্ভোগে রয়েছি ৫ গ্রামের হাজারো মানুষ। তাদের চলাচলে একমাত্র ভরসা একটি বাঁশের সাঁেকা। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ একটি পোলের ব্যাবস্থা করবেন এটাই এলাকাবাসীর দাবী।
নবম শ্রেণীর ছাত্রী আফসানা বলেন, এই নড়েবড়ে সাঁকোর উপর দিয়ে বিদ্যালয়ে ভয়লাগে কখোন কি ঘটে যায়। অভিভাবক আবদুল আলিম বলেন, ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে সব সময় চিন্তিত থাকি সাঁকো পাড় হতে গিয়ে কোন সমস্যা হয় কিনা।
উপজেলা কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন বলেছেন এতো বড় একটি বাঁশের সাঁকো আছে আমার জানা নেই। তবে উপজেলা প্রকৌশলীকে পাঠাবো। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে পোলের ব্যবস্থার জন্য চেষ্টা করবো।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।