কুয়াকাটা পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন পূর্ব আলিপুর গ্রামে চোরের উপদ্রব দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে স্থানীয় মুসা মিয়ার বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা বাড়ির পেছনের অংশ দিয়ে প্রবেশ করে তার খামারের অনেকগুলো পালিত হাঁস এবং একাধিক পেঁপে গাছ থেকে পাকা ফল চুরি করে নিয়ে যায়।
পরদিন ভোরে হাঁস ও পেঁপে গাছে ফল না দেখে পরিবারের সদস্যরা আশপাশের বাড়িতে খোঁজখবর চালালে পার্শ্ববর্তী বিল এলাকায় শাহিনুর নামের এক ব্যক্তির গরুর ঘরের পাশে হাঁসের চামড়াসহ চুরির আলামত দেখতে পান।এ বিষয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, পূর্ব আলিপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে চলেছে। রাতের আঁধারে বাড়ি-ঘরে হানা দিয়ে চোরেরা গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি, ফলমূলসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে। এর আগে মৎস্য বন্দর আলিপুর এলাকায় একাধিক ঘরে রাতের আঁধারে জানালা ভেঙে প্রবেশ করে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনাও ঘটেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটলেও এখনো পর্যন্ত চোরচক্রের কাউকে শনাক্ত বা আটক করা যায়নি। পুলিশও এসব বিষয়ে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তারা। ফলে এলাকাবাসী নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন।এ নিয়ে এলাকাবাসী দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মহিপুর থানার ওসি (তদন্ত) অনিমেষ হালদার বলেন, “আপনারা যদি নিজেরা রাতে পাহারার ব্যবস্থা করেন এবং সন্দেহভাজন কাউকে ধরেন, তাহলে পুলিশের পক্ষ থেকে গ্যাং শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে। এদিকে এলাকার সচেতন মহল মনে করছেন, পুলিশি টহল জোরদার না হলে এ ধরনের চুরির ঘটনা বন্ধ হবে না। তাই দ্রুত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে চোরচক্র ধরতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।