শুক্রবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৫

বোরহানউদ্দিনে জ্বীনের বাদশা সেজে প্রতারণা করে কোটিপতি শরিফ

রিয়াজ ফরাজি,বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি।।

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের পিরগঞ্জ বাজার এলাকায় শরিফ ওরফে শরিফ খনকারের প্রতারণায় লাখ টাকা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অনেক পরিবার। জ্বীনে বাদশা সেজে প্রতারণা করে কোটিপতি বনে গেছেন শরিফ ওরফে শরিফ খনকার। তিনি শরিফ খনকার নামে পরিচিত পুরো উপজেলায়। প্রেমিক প্রেমিকার মিল, মানুষকে বশিভূত করা ও সকল রোগের চিকিৎসা, শত্রুকে কুফরি বান মেরে হত্যা করা হয় এসব প্রচারনা করেন শরিফ খনকার। তার বাড়িতে প্রতারণা মুলক খুলে বসেছেন জ্বীনের বাদশার আসরের দোকান। ওই আসরে তিনি নামাজের জায়নামাজে বসেন। কিছুক্ষণ পরে জ্বীনের বাদশা পরিচয়ে চিকন সুরে প্রতারণা মুলক কথা বলেন শরিফ ওরফে শরিফ খনকার।

তার বাড়িতে যাওয়া ভুক্তভোগীদেরকে জ্বীনের বাদশা সেজে প্রতারনা মুলক ভয়প্রদর্শন করেন প্রতারক শরিফ।
ভয় পেয়ে শরিফের মাধ্যমে জ্বীনের বাদশাকে দিয়ে চিকিৎসা করাতে রাজি হয় ভুক্তভোগীরা। তবে জ্বীনের বাদশা নয় প্রতরক শরিফের প্রতারণার খপ্পরে পরে চিকিৎসা করাতে রাজি হয় ভুক্তভোগীরা।
প্রথমে সকল রোগ ভালো করতে নেওয়া হয় ১০ হাজার টাকা। কিছুদিন পরে চিকিৎসায় অবনতি হলে ফের প্রতারক শরিফ ওরফে শরিফ খনকারের দ্বারস্থ হয় ভুক্তভোগীরা। দ্বিতীয় দফায় প্রতারণা মুলক আবার ওই আসরে বসেন শরিফ খনকার। সেখানে ভুক্তভোগীদের বাড়িতে ৫ শত জ্বীনের অবস্থান।

ওই অবস্থানরত জ্বীন বাড়িতে আটকা অবস্থায় রয়েছে। তারা অনেক ক্ষিপ্ত হয়ে আছে। যে কোন সময় বাড়ির কয়েকজনকে হত্যা করবে এসব জ্বীন। এমন ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে মুক্তিপেতে
চাওয়া হয় মোটা অংকের টাকা। শরিফ খনকারের প্রতারণা মুলক অভিনয়ের কাছে হার মানতে হয় তার বাড়িতে আসা ভুক্তভোগীদের। জ্বীনের মাধ্যমে হত্যা থেকে বাঁচতে মোটা অংকের টাকা শরিফ খনকারের হাতে তুলে দেন ভুক্তভোগীরা। শরিফ খনকারের বাড়িতে প্রতিদিন ও প্রতিদিন রাতে ঘটে এমন প্রতারণার ঘটনা।

স্থানীয়রা জানান, শরিফ খনকার এলাকায় খনকারি করেন। এছাড়া কোন কাজ করেন না তিনি। প্রতারণা করে কোটিপতি বনে গেছেন শরিফ ওরফে শরিফ খনকার। করেছেন কোটি টাকার আলিশান বাড়ি ও রয়েছে কয়েক লাখ টাকার দামী মোটরসাইকেল। মানুষকে জ্বীনের বাদশার ভয় দেখিয়ে এসব প্রতারণা মুলক ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রতারক শরিফ ওরফে শরিফ খনকার। তাকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান সাধারণ মানুষসহ ভুক্তভোগীরা। অন্যদিকে শরিফ খনকারের প্রতারণার খপ্পরে পরে লাখ টাকা হারিয়ে সমাজ লজ্জায় কাউকে কিছু বলছে না ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগীদের এসব সমাজ লজ্জার দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে কোটিপতি বনে গেছেন শরিফ ওরফে শরিফ খনকার। শরিফ খনকার জানান, আমি খনকারি করে মানুষকে উপকার করি। তবে প্রতারণার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান জানান, সকল অপরাধীর বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে।

আরো পড়ুন

বাবুগঞ্জের ইউএনও’র বদলি স্থগিতের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে মানববন্ধন

বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি।। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার জনপ্রিয়, জনবান্ধব ও মানবিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আহমেদের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *