নিজস্ব প্রতিবেদক।।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ঢাকায় সোহাগ খুনের দায়-দায়িত্ব তারেক জিয়া, মির্জা ফখরুল ও প্রশাসনকে গ্রহণ করতে হবে। এক আবু সাঈদ হত্যা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে ফেলেছে, আর এক সোহাগ হত্যায় বিএনপির মসনদও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
ফয়জুল করীম বলেন, যখনই কোনো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদার বিষয়টি ধরা পড়ে তখনই তাকে বহিষ্কার করা হয়। বিএনপি এ পর্যন্ত ৩হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে। কিন্তু বহিষ্কারের কারণে চাঁদা, খুন, জুলুম কমেনি। বহিষ্কার আসলে কিছুই না, আইওয়াশ, লোক দেখানোর নিয়ম। তারা বলে ব্যক্তি দোষ করলে দল তার দায় দায়িত্ব নেবে না। আমি মনে করি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুর্নীতি-খুনের ফ্যাক্টরি।
তিনি আরও বলেন, আবরারকে যারা হত্যা করেছে তারা বাংলাদেশের মেধাবী ছাত্র ছিল। কিন্তু এই ফ্যাক্টরিতে যাওয়ার পর তারা খুনি হয়েছে। আজকে হাজারো মেধাবী আওয়ামী লীগ-বিএনপি করার কারণে ধর্ষক হয়েছে, চাঁদাবাজ হয়েছে।
ফয়জুল করীম বলেন, পুলিশ এই মামলাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই ঘটনা প্রকাশ না হয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কাউকে বহিষ্কার করা হয়নি। চাঁদা নিলে পুরষ্কার, ধরা পড়লে বহিষ্কার, আর ভাইরাল হলে গ্রেপ্তার।
পরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগরের আয়োজনে সদর রোড থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় ঢাকায় সোহাগ হত্যার ঘটনাসহ দেশব্যাপী চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানানো হয়।
আরও বক্তব্য দেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী ও বরিশাল জেলা সভাপতি উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।