জেলা প্রতিনিধি ভোলা।।
ভোলায় ভুয়া সনদে প্রাইমারির শিক্ষক নাজিম, তুলছেন বেতন-ভাতাও ” শিরোনামে বাংলাদেশ বাণীতে নিউজ প্রকাশের পর সেই নাজিমের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে । লালমোহন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহ আলমকে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করা হয় । ১৭জুলাই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে চাকরির আবেদন করার সময় প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিলনা মো. নাজিম উদ্দিনের । এই শিক্ষক ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে বরিশাল ব্রজমোহন কলেজের গণিত বিভাগের ছাত্র ছিলেন । ওই বিষয়ের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয় ২০২১ সালের ২৫ জুলাই ।
চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর । আবেদন গ্রহণ ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর শুরু হয়ে শেষ হয় একই বছরের ২৪সেপ্টেম্বর । আর তিনি স্নাতক পাস করেছেন ২০২১ সালের ২৫ জুলাই । তাই তিনি ওই সময় ওই পদে চাকরির আবেদন করার যোগ্যতাসম্পন্ন ছিলেন না ।
তবুও তিনি ২০২৩সালের ২৩জানুয়ারী লালমোহন চর উদয়কালী সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ভুয়া সনদে আবেদন জমা দিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে ঐ পত্রিকার এক সাংবাদিক। গত (২জুলাই) অনুসন্ধানী নিউজ প্রকাশের পর ভোলা জুড়ে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়। এরপর জেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিস তদন্ত কমিটি করে।
Daily Bangladesh Bani বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের দৈনিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে, সমাজের অন্ধকার দিকগুলো উন্মোচন করে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকারের প্রচার করি।